CPM কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদে শহিদ দিবস পালনের ডাক BJP-র, তার আগেই শোকার্তদের বাড়িতে হাজির সেলিম-মীনাক্ষীরা
CPIM: রবিবার হর গোবিন্দ দাস আর চন্দন দাসের প্রসঙ্গ নাম ছাড়াই প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ করেছিল মুর্শিদাবাদ জেলার বামফ্রন্ট। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছিল বিজেপি। যদিও রাতের দিকে প্রেস বিবৃতিতে দু'জনের নামের উল্লেখ করে তারা।

ধুলিয়ান: মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের জাফরাবাদের অশান্তিতে মৃত্যু হয়েছিল হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস। এই দু’জন সিপিএম কর্মী বলে দাবি করেছিলেন বাম নেতৃত্ব। তাঁদেরকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। সোমবার মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন CPIM-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও, জামির মোল্লা, ধ্রুবজ্যোতি সাহা-সহ দলের অন্যান্য নেতৃত্ব।
এ দিন, দুপুরে সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন সেলিম-মীনাক্ষীরা। পরিবারের পাশে থেকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। পরে মহম্মদ সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, “পুলিশের গাফিলতিতে এই অশান্তি হয়েছে। গোটা গ্রামের একই চেহারা। আক্রমণকারীরা আক্রমণ করার চার-পাঁচ ঘণ্টা সময় পেয়েছে। কিন্তু তারপরও পুলিশ প্রশাসন আসেনি। অথচ এখান থেকে এখান থেকে দশ মিনিটের দূরত্বে থানা। এর দায় পুলিশমন্ত্রীকে নিতে হবে। এমনকী আগুন লাগিয়েছে দোকান লুঠপাটের পর। দমকল আসেনি। তাহলে এই দফতর কেন আছে? আর পুলিশের দফতর কেন আছে? এর জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত।” আজ শোকার্ত পরিবারের সদস্যরাও অভিযোগ করেন যে, ঘটনার পর কোনও পুলিশ আসেনি তাঁদের বাড়িতে।
উল্লেখ্য, রবিবার হর গোবিন্দ দাস আর চন্দন দাসের প্রসঙ্গ নাম ছাড়াই প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ করেছিল মুর্শিদাবাদ জেলার বামফ্রন্ট। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছিল বিজেপি। যদিও রাতের দিকে প্রেস বিবৃতিতে দু’জনের নামের উল্লেখ করে তারা। মৃত দু’জন সিপিএমের কর্মী সমর্থক হলেও, তাঁদের বিষয়ে কেন দল চুপ ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি।এরপর ওই দুজনের নামে শহীদ দিবস পালনের এবং প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা করে বিজেপি। এহেন আবহের মধ্যেই দেখা গেল আজ হরগোবিন্দ দাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মহম্মদ সেলিম-মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা।





