মুর্শিদাবাদ: সকালে ঘরেই ছিল ছোট্ট ছেলেটা।খাওদা-দাওয়া সেরে শনিবার বিকেল নাগাদ বেরিয়েছিল ঘুরতে।কিন্তু অনেক রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি সে। ফলে চিন্তায় পড়ে যায় গোটা পরিবার। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনও ভাবেই খোঁজ মেলেনি ওই নাবালকের। এরপর রবিবার সকালেই দুসংবাদ এসে পৌঁছায় বাড়িতে। বাড়ির ছোট্ট ছেলেটি আর নেই। নৃশংস ভাবে গলা কাটা অবস্থায় কেউ তাকে খুন করে ফেলে রেখে গিয়েছে লিচু বাগানে।
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার জিগরীর এলাকার ঘটনা। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত নাবালকের নাম রামিজ শেখ (১৪)। শনিবার বিকাল নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয় রামিজ। কিন্তু সারারাত কাটলেও বাড়ি ফেরেনি সে। এরপর বাড়ির ছেলেকে বাড়িতে ফিরতে না দেখে চিন্তায় পড়ে যায় গোটা পরিবার। আজ সকালে ওই কিশোরের কাকা যখন নিজের লিচু বাগানে যান তখন দেখেন গলা কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে রামিজ। ছোট্ট ছেলেটিকে এই অবস্থায় দেখে চিৎকার করে বাড়ির সদস্যদের খবর দেয় ছেলেটির কাকা।
পরে পুলিশকে জানানো হয় গোটা বিষয়টি। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে বেনিয়াগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। এভাবে কিশোরের গলাকাটার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রামিজকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। তবে কী কারণে খুন পরিষ্কা নয়। ঘটনার তদন্ত করে দেখছে ফরাক্কা থানা পুলিশ।
এই বিষয়ে নউসর আলি ওই নাবালকের কাকা জানান, “এলাকার বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছিল গতকাল সন্ধে নাগাদ। এরপর রাত হলেও বাড়ি ফেরেনি। সেই কারণে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি আমরা। রাত বারোটা বাজার পরও বাড়িতে আসেনি। আরও চিন্তা বেড়ে যায় আমাদের। আমরা ভাবছিলাম বাচ্চা ছেলে হয়ত বন্ধু বান্ধব কারোর বাড়িতে শুতে গিয়েছে। কী আর দেখব। যেভাবে ওকে ওরা মেরে ফেলেছে বলার কিছু নেই। খুন করা হয়েছে ওকে। আমরা চাই খুনি তাড়াতাড়ি ধরা পড়ুক। কঠোর শাস্তি চাই আমরা।”
আরও পড়ুন: Purba Bardhaman: ছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ, বিরোধীদের ‘ভয়ে’ লুকিয়ে শপথ তৃণমূল কাউন্সিলরের