Purba Bardhaman: ছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ, বিরোধীদের ‘ভয়ে’ লুকিয়ে শপথ তৃণমূল কাউন্সিলরের
Purba Bardhaman: কলেজ ছাত্রী তুহিনা খাতুনকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বর্ধমান পুরসভার নব নির্বাচিত কাউন্সিলর বসির আহমেদ ওরফে বাদশার বিরুদ্ধে।
পূর্ব বর্ধমান: এক কলেজ ছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলায় তোলপাড় হয় রাজনীতি। পথে নামে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন গুলো। শুধু জেলা নয়, পাশপাশি রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে সামিল হন তারা। এবার যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তৃণমূল কাউন্সিলর শপথ ঘিরে ফের একবার সরগরম রাজনীতি। অভিযুক্ত কাউন্সিলর শপথ নিলেন এসডিও অফিসে। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান বর্ধমান সদর (উত্তর) মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস।
জানা গিয়েছে, ওই কলেজ ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বর্ধমান পুরসভার নব নির্বাচিত কাউন্সিলর বসির আহমেদ ওরফে বাদশার বিরুদ্ধে। এদিকে, গোটা ঘটনায় বিরোধী দলগুলি সরব হলেও পুলিশ এখনও তাঁকে গ্রেফতার করেনি বলেই খবর। তার উপর আবার ১৭ মার্চ তিনি বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমা শাসকের দফতরে গিয়ে শপথ নেন। আর এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায়।
এই ঘটনার বিষয়ে এসএফআই সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরি বলেন, “আরও একবার প্রশ্নের মুখে থাকল বর্ধমানের আইন-শৃঙ্খলা। ঘটনা ঘটার এতদিন পরও কোনও ব্যবস্থা করা হল না। আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরাও বসির আহমেদের বিরুদ্ধে আঙুল তোলে। তারপরও সেই কাউন্সিলের কাছে গিয়ে শপথ গ্রহণ করছেন। কোথায় গেল তদন্ত?” অন্যদিকে তৃণমূল জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। যে দোষী তার যেন যোগ্য শাস্তি হয়। তদন্ত মুখে কথায় হয় না। তদন্ত করতে-করতেই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। আমরাই প্রথম বলেছিলাম নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।”
কী ঘটেছিল ওই ছাত্রীর সঙ্গে?
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ পুরসভার ফলাফল ঘোষণার দিন বর্ধমান শহরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ এলাকায় এক কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ ওঠে এলাকার নব নির্বাচিত কাউন্সিলর বাদশা ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরই বাড়ি থেকে পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে বর্ধমান থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয় বসির আহমেদ সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে।
দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠন।পাশাপাশি বিক্ষোভ আন্দোলনে নামে কংগ্রেসও। খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ অধীর চৌধুরী পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।ওই পরিবারের অভিযোগের পরিপেক্ষিতে পুলিশ এখনও পর্যন্ত চারজন মহিলা সহ পাঁচকে গ্রেফতার করে। তবে বসির আহমেদ এখনও গ্রেফতার হননি।
এই আবহের মাঝেই গত ১৬ মার্চ বর্ধমান পুরসভার নবনির্বাচিত ৩৩ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শপথ নেন বর্ধমান সদর মহকুমা শাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাসের কাছে।শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হননি বসিরউদ্দিন আহমেদ ওরফে বাদশা। কিন্তু তারপরেই ১৭ মার্চ দ্বিতীয়ার্ধে তিনি মহকুমাশাসকের চেম্বারে গিয়ে শপথ নেন। এই খবর চাউড় হতেই শুরু হয় বিতর্ক ।