
মুর্শিদাবাদ: মহিলাকে মারধর অভিযোগ চিকিৎসক ও তাঁর কম্পাউন্ডারের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। বেসরকারি হাসপাতালে মধ্যে মারধর করা হয়েছে অভিযোগ। এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সূত্রপাত। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাওনা টাকা নিয়ে দুই শরিকদারের সঙ্গে ঝামেলা। বৃহস্পতিবার পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে এক মহিলাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসক ও তাঁর সহকারি স্টাফদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত মহিলা জুলি খাতুন জানিয়েছেন, রঘুনাথগঞ্জের সাইন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসেন ডাক্তার হাবিবুর রহমান। তাঁর কাছেই ৬০ লক্ষ টাকা পাবেন তিনি। সেন্টারের শরিক হিসাবেই সেই টাকা পাবেন ওই মহিলা।
বৃহস্পতিবার সকালে টাকা গিয়েছিলেন জুলি। অভিযোগ, সেই চাইতে গেলেই প্রথমে তা দিতে অস্বীকার করেন চিকিৎসক। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরই ওই চিকিৎসক ও তাঁর কম্পাউন্ডাররা ওই মহিলার ওপর চড়াও হন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু তা সামলাতে না পেরে খবর যায় থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে।
ওই মহিলা বলেন, “আমার টাকা আমি চাইতে গিয়েছি। কীভাবে একজন মহিলার গায়ে হাত তুলতে পারে? আমার এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা হজম করে নিয়েছে। আমার মোবাইলে সব তথ্য রয়েছে। টাকা দিয়েছি পাঁচ বছর হয়ে গিয়েছে। টাকা দেওয়ার লেখাপড়ার নথিও আমার ফোনে রয়েছে। একটা টাকাও পাইনি। এখন ডাক্তারের গুন্ডবাহিনী হামলা চালিয়েছে। ওর গুন্ডারা আমার গায়ে হাত তুলেছে। ওকে গ্রেফতার করতেই হবে।” অভিযুক্তদের সকলের গ্রেফতারির দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন ওই মহিলা। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বাইরে রীতিমতো ভিড় জমে যায়। পুলিশ গিয়ে ভিড় সরিয়ে আপাতত দুজনকে আটক করে নিয়ে যায়।