AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murshidabad: বিছানায় পড়ে স্ত্রী-পুত্রের দেহ, ঝুলছেন ব্যক্তি, জানালা দিয়ে দেখে আঁতকে উঠল পরিবার

Man kills wife and son: বেলডাঙা থানার পুলিশ মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ও ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এই নৃশংস ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তার তদন্ত করছে বেলডাঙা থানার পুলিশ। সঞ্জিতের মা অঝোরে কেঁদে চলেছেন। তিনি বলেন, "আমার বউমা ভাল ছিল না। তার জন্যই এমন হয়েছে। একবার চলে গিয়েছিল। তাকে নিয়ে এসেছিল বউমা।"

Murshidabad: বিছানায় পড়ে স্ত্রী-পুত্রের দেহ, ঝুলছেন ব্যক্তি, জানালা দিয়ে দেখে আঁতকে উঠল পরিবার
কী বলছেন মৃত ব্যক্তির মা?Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2025 | 9:28 AM
Share

মুর্শিদাবাদ: মর্মান্তিক। স্ত্রী ও সাত বছরের সন্তানকে গলা কেটে খুনের অভিযোগ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এরপর নিজেও আত্মঘাতী হলেন তিনি। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার আণ্ডিরন হালদার পাড়ায়। মৃতরা হলেন সঞ্জিত হালদার (৪০), মৌসুমী হালদার (২৮) এবং রায়হান হালদার(৭)। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন সঞ্জিত।

পুলিশের অনুমান, গতকাল রাতে সঞ্জিত হালদার নিজের ঘরে স্ত্রী ও ছেলেকে করাত দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। তারপর নিজে ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালের দিকে সঞ্জিতের মা বাথরুম যাওয়ার সময় জানালা দিয়ে দেখতে পান, তাঁর ছেলে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। চিৎকার শুরু করেন তিনি। প্রতিবেশীরা এসে ঘরে দরজা খুলে দেখেন, সঞ্জিতের স্ত্রী ও ছেলের গলা কাটা নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় বেলডাঙা থানায়।

বেলডাঙা থানার পুলিশ মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ও ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এই নৃশংস ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তার তদন্ত করছে বেলডাঙা থানার পুলিশ। সঞ্জিতের মা অঝোরে কেঁদে চলেছেন। তিনি বলেন, “আমার বউমা ভাল ছিল না। তার জন্যই এমন হয়েছে। একবার চলে গিয়েছিল। তাকে নিয়ে এসেছিল বউমা।” সঞ্জিতের দিদি শিবাণী মণ্ডল বলেন, “আমার ভাই বউকে খুব ভালবাসত। বলত, বউকে কেউ কিছু বলবি না।”

Murshidabad Murder

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃত ব্যক্তির মা-দিদি

মঙ্গল হালদার নামে এক প্রতিবেশী বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত। কিন্তু, কেন অশান্তি হত, তা জানি না। পুজোর সময়ও স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে জামাকাপড় কিনতে গিয়েছিল।” সঞ্জিত রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। এছাড়াও অন্য কাজ করতেন। তবে কোনও নেশা করতেন না বলে প্রতিবেশীরা জানান।