HS Exam: জানালা দিয়ে পালিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল সুলতানা, সাহায্য করল পুলিশ

Koushik Ghosh

Koushik Ghosh | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Updated on: Mar 16, 2023 | 2:30 PM

HS Exam: স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই পড়ুয়ার নাম সুলতানা খাতুন। বাড়ি মুর্শিদাবাদের তিলডাঙায়। গত এক বছর আগে সুলতানার বিয়ে হয় ফরাক্কা থানার বিন্দুগ্রামে।

HS Exam: জানালা দিয়ে পালিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল সুলতানা, সাহায্য করল পুলিশ
পুলিশের সহায়তায় পরীক্ষা দিল সুলতানা (নিজস্ব চিত্র)

ফারাক্কা: এক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তবে নিজের অদম্য জেদে ছাড়তে চায়নি পড়াশোনা। বহু বাধা অতিক্রম করে মেয়েটি চালিয়ে যাচ্ছিল নিজের লেখাপড়া। কিন্তু বিপত্তি হল যখন উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয় তখন। ছাত্রীর অভিযোগ, উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বাধা দেয় তার শ্বশুড়বাড়ির সদস্যরা। ঘরে তালা বন্ধ করে রাখার চেষ্টাও করেন। শেষে আর কোনও উপায় না দেখে থানার দ্বারস্থ হয় সে। পুলিশের উদ্যোগে শেষমেশ পরীক্ষা দেয় ওই পড়ুয়া। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই পড়ুয়ার নাম সুলতানা খাতুন। বাড়ি মুর্শিদাবাদের তিলডাঙায়। গত এক বছর আগে সুলতানার বিয়ে হয় ফরাক্কা থানার বিন্দুগ্রামে। উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন তাঁকে বাড়িতে তালা মেরে বন্দি করে রাখতে চেয়েছিল। সেই সময় সে কোনওভাবে বাড়ি থেকে পালিয়ে ফরাক্কা থানার দারস্থ হয়।

এরপর ফারাক্কা থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী ছাত্রীর কাছ থেকে সমস্ত অভিযোগ শোনেন। সুলতানা জানান, সে যাতে পরীক্ষা দিতে না পারে সেই কারণে তাঁর অ্যাডমিট কার্ড সহ সমস্ত কাগজপত্র শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফেলে দিয়েছে। পরে আইসি নিজে মেয়েটির শ্বশুরবাড়িতে উপস্থিত হন। তবে বাড়িতে তখন তালা মারা ছিল। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাশের জঙ্গল থেকে সুলতানার অ্যাডমিট কার্ড ও ব্যাগ উদ্ধার করেন তিনি। এরপর সুলতানাকে নিউ ফরাক্কা হাইস্কুলের পরীক্ষা সেন্টারে বসিয়ে দেওয়া হয়।

আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, “একদম সকালে মেয়েটি এসেছে। বলল শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওর পোশাক, বই, অ্যাডমিট কার্ড সব নিয়ে তালা মেরে দিয়েছে। ওকেও বন্ধ রাখতে চেয়েছিল। এরপর আমি ওদের স্কুলের শিক্ষককে ফোন করি। আমরা ওর শ্বশুরবাড়ি যাই। দরজায় দেখি তালা মারা। এরপর একটি ছেলে আমাদের জানায় ওর স্বামী জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে গেছে। সেই মতো আমরাও জঙ্গলের রাস্তা ধরে এগোই। তখন দেখি এখটি ব্যাগ পড়ে রয়েছে। সেই ব্যাগের ভিতর মেয়েটির অ্যাডমিট কার্ড রয়েছে। তবে স্কুল ইউনিফর্মটা এনে দিতে পারিনি।” সুলতানা বলেন, “আমি পড়তে ভালবাসি। আমার স্বামী আমাকে পরীক্ষা দিতে দিচ্ছে না। আমি এসে থানায় জানাই। পুলিশ আমায় অনেক সাহায্য করে।” আইসি-র এ হেন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নিউ ফরাক্কা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মণিরুল ইসলাম।

Latest News Updates

Follow us on

Related Stories

Most Read Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla