Murshidabad Murder: খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মী ‘খুনে’ রাতারাতি গ্রেফতার ২, পুলিশের জালে ৩
Murshidabad Murder: বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে এলোপাথাড়ি হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় কংগ্রেস কর্মীরা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে থাকেন। পালানোর চেষ্টা করেছিলেন সকলেই। কিন্তু এলোপাথাড়ি গুলিতে জখম হন বেশ কয়েকজন। যতক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় জড়ো হন, ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
মুর্শিদাবাদ: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনই খড়গ্রামে ‘খুন’ কংগ্রেস কর্মী। রাতারাতি এই ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গভীর রাতে তাঁদেরকে বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়। পরে তাঁদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসছিল। এমনকি বাঁকুড়ায় বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিলও ছোড়ার ছবি প্রকাশ্যে আসে। রাতে রক্তাক্ত হয় খড়গ্রাম। বলাইবাহুল্য, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রথম বলি এটিই। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকালে তাস খেলছিলেন ফুলচাঁদ শেখ নামে নিহত কংগ্রেস কর্মী। ঘটনাস্থলে ছিলেন ৮ থেকে ১০ জন। অভিযোগ, সে সময়েই তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রীত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়।
বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে এলোপাথাড়ি হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় কংগ্রেস কর্মীরা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে থাকেন। পালানোর চেষ্টা করেছিলেন সকলেই। কিন্তু এলোপাথাড়ি গুলিতে জখম হন বেশ কয়েকজন। যতক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় জড়ো হন, ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
আহত প্রত্যেককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ফুলচাঁদ শেখকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও আট জন। এখনও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি ছ’জনকে অবশ্য প্রাথমিক চিকিৎসার পড় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এই ঘটনা রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলাকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরই প্রথম বলি নিয়ে তপ্ত রাজনীতি। পরিবারের অভিযোগ, যারা গুলি চালিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই তৃণমূল আশ্রীত। ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে ইমরান বলে একজনের নাম উঠে আসছে। এই ঘটনায় কংগ্রেস বনাম তৃণমূলের একটি তত্ত্ব খাঁড়া করা হচ্ছে। তবে মৃতের স্ত্রীর বক্তব্য, তাঁর স্বামী কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে তিনি যখন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছিলেন, তখনই পাশ থেকে তাঁদেরই পরিবারের এক সদস্য দাবি করেন, ফুলচাঁদ কংগ্রেস করতেন। তাঁদের পরিবারের সকলেই কংগ্রেস করেন। আর যারা খুন করেছে, তারা তৃণমূলী। পুরনো কোনও শত্রুতা নাকি রাজনৈতিক ‘খুন’? গোটা বিষয়টি আপাতত খতিয়ে দেখছে পুলিশ।