AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murshidabad Violence: তাণ্ডবের দিন ৭ মুসলিম ছাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন, সেই শুভ্রবাবুরই বড় ক্ষতি করে দিল দুষ্কৃতীরা

Murshidabad Violence: সামশেরগঞ্জ থানার অদূরে ধুলিয়ান-ঘোষপাড়া রোড। তাণ্ডবের দিন সকালে ওই এলাকার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী শুভ্র সাহার নজরে আসে বাড়ির ঠিক উল্টোদিকে সাতজন মুসলিম ছোট-ছোট মেয়ে রীতিমতো কাঁদছে।

Murshidabad Violence: তাণ্ডবের দিন ৭ মুসলিম ছাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন, সেই শুভ্রবাবুরই বড় ক্ষতি করে দিল দুষ্কৃতীরা
শুভ্র সাহাImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 20, 2025 | 11:53 AM
Share

মুর্শিদাবাদ: যিনি ত্রাতা তাঁর বাড়িতেই হল হামলা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জানালার সবকটি কাচ। একের পর এক ইট উড়ে এল বাড়ির লক্ষ্য করে। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাড়ির সামনের কিছু অংশে। তাণ্ডবের প্রথম দিনের ঘটনা।

সামশেরগঞ্জ থানার অদূরে ধুলিয়ান-ঘোষপাড়া রোড। তাণ্ডবের দিন সকালে ওই এলাকার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী শুভ্র সাহার নজরে আসে বাড়ির ঠিক উল্টোদিকে সাতজন মুসলিম ছোট-ছোট মেয়ে রীতিমতো কাঁদছে। তাদের পরনে স্কুলের পোশাক। আর তাণ্ডবকারীরা হাতে অস্ত্র নিয়ে এলাকা দাপাচ্ছে। তার মাঝেই ওই সাতটি মেয়ে পড়ে যায়। শুভ্র সাহা, ওই সাতটি মেয়েকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে নিজের ঘরে স্থান দেন। তখনও অনবরত কেঁদে চলেছে ওই সাতটি মেয়ে। কিন্তু সেই সাতজন যখন ওই বাড়িতে উপস্থিত, তখনই তার বাড়িতে চলল এলোপাথাড়ি হামলা। ইট বৃষ্টি। ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় বাড়ির জানালা কাচ। কার্যত তখন আতঙ্কে শুভ্রবাবুর স্ত্রী মেয়ে এবং ছেলে।

 

শুভ্র বাবু জানালেন, ধারাল অস্ত্র এবং রড নিয়ে তাঁকে মারতে আসে। দুষ্কৃতীরা বলেছিল, আজকে কেটেই ফেলব। কিন্তু ওই সাত জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েকে দেখে তখনের মতো ওই দল চলে যায়। কিন্তু আবার ফিরে আসে দুষ্কৃতীরা। চলে বাড়ি ভাঙচুর। ধুলিয়ান জুড়ে যে তাণ্ডব চলেছে, তাতে শুভ্রবাবুর বাড়ি রক্ষা পায়নি। তাঁর আক্ষেপ, মানুষ এখন আর মানুষের জন্য নয়। এখন কিছু মানুষ পশু হয়ে গিয়েছে। শুভ্র সাহা বলেন, “সাত-আটজন কাঁদছিল। ভয়ে কাঁপছিল মেয়েগুলো। সেই সময় আমি বলেছিলাম তোদের ভয় নেই। আমার বাড়ির দিকে আয়। বাবার মতো গার্ড করে নিয়ে আসি। বলি তোদের ভয় নেই। এরপরই জনা কয়েক দুষ্কৃতী আমার বাড়ি এসে তলোয়ার বের করে। তারপর বলে কাটব তোকে। কিন্তু ওই মেয়েগুলোকে দেখে বলে, চাচা আপনি ভাল কাজ করেছেন। এর ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যে দেখলাম আমার গোটা বাড়ি ভাঙচুর করল।” উদ্ধার হওয়া ছাত্রীদের এক অভিভাবক ফোনে টিভি ৯ বাংলাকে জানালেন, “আমার মেয়ে আটকে পড়েছিল। তারপর শুনলাম শুভ্রদার বাড়িতে আছে। এখন শুনছি ওঁর বাড়ি যেভাবে ভেঙেছে সেটা উচিত হয়নি।”