
সামশেরগঞ্জ: কখনও নদিয়া, কখনও মুর্শিদাবাদ, কখনও বা উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুর। ফাঁক-ফোকড় পেলেই ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়েন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। কড়া ভাষায় তার জবাব দেন পুলিশ কর্মী থেকে বিএসএফ আধিকারিকরা। এবার আর শুধু অনুপ্রবেশ নয়, তার সঙ্গে এ দেশের অন্দরে গুরুতর খারাপ কাজ করার অভিযোগে এক বাংলাদেশির সাজা ঘোষণা করল আদালত।
ওই ব্যক্তির নাম মণিরুল ইসলাম। বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের তারাপুর এলাকায়। ২০২২ সালে জালনোট সহ সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় এই যুবক। এরপর মণিরুল শেখকে চার বছরের সাজা দিল জঙ্গিপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। শুধু তাই নয়, তার সঙ্গে ১০ হাজার করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের জেল। শনিবারই জঙ্গিপুর আদালতের বিচারক অনিল কুমার প্রসাদ এই রায় ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সামসেরগঞ্জের গাম্ভারতলা এলাকা থেকে মণিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে ৪৯৫ টি পাঁচশো টাকার জালনোট বাজেয়াপ্ত করা হয়। তদন্তে নেমে প্রথমে ধৃতের বাড়ি সাগরদিঘি থানা এলাকায় বলে জানতে পারলেও পরবর্তীতে গভীর রহস্য উঠে আসে। তদন্ত এগোতেই পুলিশ জানতে পারে, ধৃত যুবক সাগরদিঘি থানা এলাকার কাবিলপুরের এক ব্যক্তিকে বাবা সাজিয়ে জাল নথি তৈরি করে। পরে পুলিশ তদন্তে জানতে পারে আদোতে সে বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের তারাপুর এলাকার বাসিন্দা। তারপরেই তদন্ত শেষ করে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। আজ শনিবারই ধৃতের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে জঙ্গিপুরের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট।