Sukanta Majumder: ‘ভয় পাবেন না, BSF ঢুকছে’, সামসেরগঞ্জের হিংসাবিধ্বস্তদের আশ্বাস সুকান্তর
Sukanta Majumder: সুকান্ত মজুমদার নিগৃহীতদের আশ্বস্ত করেন। তিনি আশ্বাস দেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে। তাঁদের অভাব অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এলাকার নিরাপত্তায় বিএসএফ আরও বেশি করে মোতায়েন করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

মুর্শিদাবাদ: ধূলিয়ানে পৌঁছে নিগ্রহ, ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ঘরছাড়ারা। নিজেদের অবস্থা-অত্যাচারের বর্ণনা দেন তাঁরা।
এক মহিলা বলেন, “আমাদের কথা শুনলে শিউরে উঠবেন। সারা রাত তাণ্ডব চলেছে। ঘর বাড়ি সব শেষ কিচ্ছু নেই। কী করে বাঁচব আমরা?” পুলিশ যে কোনও পদক্ষেপই করেনি, সেটাও তাঁরা জানিয়েছেন। এক মহিলা বলেন, “আমরা কেঁদে কেঁদে মরে গিয়েছে। পুলিশ সব জানে, তাও পুলিশ একটি বারের জন্যও আসেনি। আমরা যখন মারা যাব, তখন কি পুলিশ আসবে?”
সুকান্ত মজুমদার নিগৃহীতদের আশ্বস্ত করেন। তিনি আশ্বাস দেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে। তাঁদের অভাব অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এলাকার নিরাপত্তায় বিএসএফ আরও বেশি করে মোতায়েন করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সুকান্ত বলেন, “রিফিউজি ক্যাম্পে গিয়েছিলাম, তখন প্রত্যেকেরই দাবি ছিল, এলাকায় স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প দরকার। রাজ্য পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নেই। আমি রাজ্য সরকারকে আবেদন করব, এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার রাজ্য যাতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে।” উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে এই এলাকা থেকেই সফর শুরু করেছিল জাতীয় মহিলা কমিশন।
সংবাদমাধ্য়মের ক্যামেরার সামনে সুকান্ত বলেন, “চিফ সেক্রেটারিকে আমি নিজে আমার প্যাডে চিঠি লিখব, যে ৫৬ খানা দোকানের মালিককে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করা হয়। মূর্তি-বিগ্রহ ভাঙা হয়েছে। যারা অন্যের ধর্মকে সম্মান করতে পারে না, নিজের ধর্মকেও সম্মান করেনা।” জাফরাবাদেও যাওয়ার কথা রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতির। নিহত বাবা-ছেলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর।

