
সাগরদিঘি: কংগ্রেসের টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শাসকদলের ব্লক সভাপতির। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা থেকে বাইরনকে তোপ দাগলেন সাগরদিঘি ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নুরে মেহেবুব আলম। তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিকে দ্বিতীয় ভাঙড় বানানোর চেষ্টা করছেন বিধায়ক বাইরন। ভাঙড়ের মতো সাগরদিঘিতে কোনও মায়ের কোল খালি হতে দেবেন না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
২ দিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে খুন হয়েছেন এক তৃণমূল নেতা। এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদল আইএসএফের দিকে আঙুল তুলেছে। কিন্তু, বিরোধীদের দাবি, শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই খুন। এমনকি, ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশ শাসকদলেরই এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে। এবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে দাঁড়িয়ে সেই ভাঙড়েরই প্রসঙ্গ টেনে আনলেন শাসকদলের ব্লক সভাপতি।
সাগরদিঘির দিয়ার বালাগাছি এলাকায় একুশ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার মঞ্চ থেকে বিধায়ক বাইরনকে আক্রমণ করেন নুরে মেহেবুব আলম। তিনি বলেন, “বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস বলেছিলেন, তৃণমূলকে কিনে নেব। আর দেখলাম কী, নিজের স্বার্থের জন্য, ব্যবসা বাঁচাতে পায়ে ধরে তৃণমূলে এলেন।” বাইরনকে তোপ দেগে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলেন, “আমি জানি না কতদিন দলে থাকব। কারণ, যাঁরা আসল তৃণমূল, যাঁরা বুথ সভাপতি, যাঁরা তৃণমূলের জন্য পরিশ্রম করছেন, তাঁদের বিধায়ক বিভিন্নভাবে প্রত্যাঘাত করার চেষ্টা করছেন।” এরপরই তিনি বলেন, “শান্তিপ্রিয় সাগরদিঘিতে যাতে মানুষে মানুষে বিভেদ হয়, তার চেষ্টা করছেন বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস।”
এরপরই তিনি বলেন, “আমরা কোনও অশান্তি চাই না। চাই না কোনও মায়ের কোল খালি হোক। আমাদের কোনও মায়ের যদি কোল খালি হয়, তার জন্য দায়ী থাকবেন বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। কারণ, প্রত্যেক জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছেন বিধায়ক।”
তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল ব্লক সভাপতির অভিযোগ নিয়ে বাইরন বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন বাইরন। কিন্তু, মাস তিনেকের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে তৃণমূলের একটি সভায় শাসকদলের পতাকা হাতে তুলে নেন বাইরন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি।