Trinamool Congress: ‘মীর্জাফরগিরি’ নাপসন্দ, TMC বিধায়ককে শোকজ় করল দল
TMC MLA Show Cause: দলীয় সূত্রে খবর, বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে মিলিতভাবে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনের অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক আব্দুল রাজ্জাক ও উত্তর জ়োনের ব্লক সভাপতি বিষ্ণুপদ সরকারের বিরুদ্ধে। সেই সূত্র ধরেই তাঁদের শোকজ নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
মুর্শিদাবাদ: দল বিরোধী কাজের জন্য মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাককে শোকজ় করল তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল যুবর জেলা সভাপতি রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে একটি দ্বন্দ্বের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল জলঙ্গির বিধায়কের। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটের সময় তা আরও প্রকট হয়েছে। আর এসবের মধ্যেই জলঙ্গির বিধায়ককে শোকজ় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সংগঠনিক জেলা সভাপতি সাওনী সিংহ রায়ও গতকালই জানিয়ে দিয়েছেন, বিধায়ককে শোকজ় নোটিস পাঠানো হবে। দলীয় সূত্রে খবর, বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে মিলিতভাবে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনের অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক আব্দুল রাজ্জাক ও উত্তর জ়োনের ব্লক সভাপতি বিষ্ণুপদ সরকারের বিরুদ্ধে। সেই সূত্র ধরেই তাঁদের শোকজ নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
সাওনী সিংহ রায় জানাচ্ছেন, এখানকার বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি কেবলমাত্র নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য, যেভাবে প্রতিটি জায়গায় সিপিএম ও কংগ্রেসকে সুবিধা করে দিয়েছেন, তা দলের পক্ষ থেকে আমাদের মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা বারবার তাঁকে বলেছি, কর্মীদের নিয়ে চলার জন্য। কিন্তু সেটা তিনি করেননি। পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনের ক্ষেত্রেও আমরা দেখলাম, বিধায়ক ও জেলা পরিষদের এক সদস্য দলকে ভোট দিলেন না। তাঁদের সমর্থনে সিপিএমের পক্ষ থেকে স্থায়ী সমিতি গঠন হয়ে গেল। এটা জেলার পক্ষ থেকে আমাদের মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা তাঁকে শোকজ় নোটিস পাঠাচ্ছি। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকেও জানানো হয়েছে।’
সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী আরও জানাচ্ছেন, ‘দীর্ঘদিন এ জিনিস চলতে পারে না। জলঙ্গির মাটি তৃণমূলের মাটি। তৃণমূলের মাটির উপর দাঁড়িয়ে কেউ মীর্জাফরগিরি করবে, এটা আমরা মেনে নিতে পারব না।’
এই বিষয়ে জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। জেলা যুব সভাপতি রাকিবুল নির্দল-এর হয়ে ভোট করেছেন। সত্যতা না জেনে শোকজ় করা হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বকে জবাব দেব। আমাদের এখানে দুটো গ্রুপ কীভাবে হচ্ছে, আমিও রাজ্যের কাছে জানতে চাইব।’