TMC Leader Murdered: ‘তোর কাকাকে মার্ডার করে ফেলল’, ফোন পেয়েই ছুটলেন ভাইপো, মিলল তৃণমূল নেতার রক্তাক্ত দেহ!

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Dec 10, 2021 | 10:48 PM

TMC Clash In Kandi: মৃতের পরিজন ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকাতেই একটি রেশনের দোকান রয়েছে ওই তৃণমূল নেতার। শুক্রবার সন্ধেয় নিজের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন নেপালবাবু। সেইসময় আচমকা কিছু দুষ্কৃতী পেছন থেকে এসে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ

TMC Leader Murdered: তোর কাকাকে মার্ডার করে ফেলল, ফোন পেয়েই ছুটলেন ভাইপো, মিলল  তৃণমূল নেতার রক্তাক্ত দেহ!
মৃতের ভাইপো, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: রাতে নিজের দোকান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল নেতা। সেইসময় আচমকাই তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।  ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নেপাল সাহা নামে ওই তৃণমূল নেতার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি শুক্রবার সন্ধ্যায় কান্দি থানার অন্তর্গত সন্তোষপুর এলাকার। ঘটনায় তৃণমূলেরই (TMC Clash) অন্য গোষ্ঠীর দিকে আঙুল তুলেছেন মৃতের পরিজন।

ঠিক কী অভিযোগ? মৃতের পরিজন ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকাতেই একটি রেশনের দোকান রয়েছে ওই তৃণমূল নেতার। শুক্রবার সন্ধেয় নিজের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন নেপালবাবু। সেইসময় আচমকা কিছু দুষ্কৃতী পেছন থেকে এসে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন নেপালবাবু। স্থানীয়রা চিত্‍‍কার শুনতে পেয়ে ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিত্‍সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃত তৃণমূল নেতা নেপাল সাহার ভাইপোর কথায়, “আজ সন্ধ্যাবেলা আচমকা আমার কাছে পার্টির লোকেরা ফোন করে বলে, ‘তুই কোথায়, তোর কাকাকে তো মার্ডার করে ফেলল!’ আমি তখন বাড়ি থেকে বেরচ্ছি। শোনার পর আকাশ থেকে পড়লাম। আমি জানি এটা ওই বরুণ সাহাদের কীর্তি। আমরা বরাবর তৃণমূল করে এসেছি। ওরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছে। তাই ওরা আমাদের পছন্দ করে না। সেই থেকে ঝামেলা শুরু করেছে। আজ আমার কাকাকে খুনই করে দিল।”

অন্যদিকে, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার কথায়,”নেপালবাবু আগে আমাদের অঞ্চল সভাপতিও ছিলেন। তাঁর স্ত্রী আমাদের এখানে পঞ্চায়েতের সদস্য। দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওঁকে কোপ মারা হয়। তবে কে বা কারা মেরেছে এবং কেন মেরেছে তা স্পষ্ট নয়। আমরা চাই, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। কেন কেউ নেপালবাবুকে মারবে এটাই বুঝতে পারছি না আমরা।” যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিকে তৃণমূল নেতার মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় কান্দি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, এলাকা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা ঘটেছে।

তবে, কান্দিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কোনও ঘটনা নয়। গত মাসেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে বোমা মারা ঘটনায় অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীরই বিরুদ্ধে। বোমার আঘাতে জখম হন তৃণমূল নেতা বাবর আলি। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তৃণমূল কর্মীর শাহজাহানই এই কাজ করেছে বলে দাবি করেন বাবর। বাবরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তাঁকে সরিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য হওয়াই শাহজাহানের মূল উদ্দেশ্য। সেই থেকে হামলা।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রতিরোধ করতে কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু, তা থামছে কই? কয়েক দিন আগেই মালদা জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। যার জেরে চলে গুলি। গোলাগুলিতে আহত হন দলেরই এক নেতার দুই পুত্র তথা কর্মী। এলাকায় নামানো হয় র‍্যাফ (RAF)। মূলত এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংর্ঘষে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় মালদহের (Malda) হরিশচন্দ্রপুরে। এরপরই হঠাৎই গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাতলামারী এলাকা। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। এদিকে গুলিতে আহত হন তৃণমূলের দুই কর্মী। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে তারপরেও থামেনি অশান্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাতেও হয়নি। অবশেষে নামাতে হয় র‍্যাফ।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘খুব পাকামি না, প্রথমেই টয়ট্রেন চাই!’, প্রশাসনিক বৈঠকে বেজায় চটলেন মুখ্যমন্ত্রী

 

Next Article