
মুর্শিদাবাদ: ‘নতুন দল করব’, ‘বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করব’ তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরই এই কথা ঘোষণা করেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তবে এবার ‘পাল্টি’ খেলেন তিনি। আজ অর্থাৎ রবিবার হুময়ুন জানালেন তিনি পদত্যাগ করছেন না। প্রথমে ভেবে থাকলেও এখন পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন? বিধায়কের বক্তব্য, শুধুমাত্র ভরতপুরের মানুষের কথা ভেবেই তিনি এই পদত্যাগ করছেন না। সত্যিই কি তাই? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কৌশল আছে? তাঁর আজকের মন্তব্যে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘোষণার পরপরই শুরু হয়েছে দলের সঙ্গে ঝামেলা বেধেছে হুমায়ুনের। এরপর দল তাঁকে সাসপেন্ড করে। সঙ্গে-সঙ্গে হুমায়ুন ঘোষণা করেন যে তিনি দল ছাড়বেন। তীব্র আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেন, “বাংলায় ৩৭ শতাংশ সংখ্যালঘু আছে। তাদের সিংহভাগের ভোট পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা। খুব অহঙ্কার হয়েছে। চূর্ণ করব আমি। আমি ওঁকে প্রাক্তন করবই।” সেই সময়ই হুমায়ুন জানিয়েছিলেন, নতুন দল গড়বেন আগামী ২২ তারিখ আর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন আগামী ১২ ডিসেম্বর। শুক্রবার বাবরী মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তরের অনুষ্ঠান হয়েছে। আর ঠিক তার পরের দিন হুমায়ুন জানালেন তিনি পদত্যাগ করবেন না।
পাল্টির আগে হুমায়ুন কী বলেছিলেন?
হুমায়ুন বলেছিলেন, “১৭ তারিখ যাব। স্পিকারের সঙ্গে যোগাযোগ করব। নিচে যাব রাজ্যপালের ঘরে। চার লাইনের পদত্যাগ পত্র দিয়ে চলে আসব। হুমায়ুন কবীরকে এই সব ডাঁট দিয়ে লাভ নেই।”
আর এখন কী বললেন হুমায়ুন?
ভরতপুরের বিধায়ক বলেন,”আমি পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছিলাম। এখানে যাঁরা ইউসুফকে ভোট দিয়ে সাংসদ করেছেন, তাঁকে খুঁজে পায় না। বহু নথিতে সই করতে হয়। তারা বলছে আমায় আপনি পদত্যাগ করবেন না। আপনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি, প্রতীক কী নেবেন আপনার ব্যাপার। আবার আপনাকে ভোট দিয়ে MLA বানাব। ভরতপুরের মানুষের জন্য আমি পদত্যাগ করব না।” সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই যে তিনি পদত্যাগ করবেন না সেই কথা আরও একবার স্পষ্ট করে জানালেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তন্ময় ঘোষ বলেন, “বাংলার মানুষ দেখছেন। তাঁরাই সব সিদ্ধান্ত নেবেন। যিনি মঞ্চে উঠে নৈতিকতার পাঠ পড়াচ্ছেন তিনি নিজেও নৈতিকতা বজায় রাখবেন।” অপরদিকে, বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “মমতাদি বারণ করেছে এখন রিজাইন করার দরকার নেই। গতকাল এত বড় অনুষ্ঠান মমতার ফান্ডিং ছাড়া করা সম্ভব? উনি তো আর বাবরের ছেলে হুমায়ুন নন, ভরতপুরেরই হুমায়ুন। ষাট হাজার প্যাকেট বিরিয়ানি এত খরচা কোথা থেকে এল? আর সাসপেন্ড করাটা হল খেলা।