Idris Ali: বিডিও-র ঘরে বসা ছবি কে ভাইরাল করেছিল? দলের এই নেতার দিকেই আঙুল ইদ্রিসের

Murshidabad: বিধায়কের বক্তব্য, 'এটি একটি চক্রান্ত। সেই চক্রান্তটি খুঁজে বের করা হোক। আমি তো পোস্ট করিনি। তিনি কেন এটি পোস্ট করলেন?' 

Idris Ali: বিডিও-র ঘরে বসা ছবি কে ভাইরাল করেছিল? দলের এই নেতার দিকেই আঙুল ইদ্রিসের
বৈঠকে তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 13, 2023 | 11:43 AM

মুর্শিদাবাদ: বিডিও-র চেম্বারে বসে দলীয় বৈঠক করেছিলেন ভগবানগোলার তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক ইদ্রিস আলি (Idris Ali)। সেই ছবি ভাইরালও হয়েছিল নেট দুনিয়ায়। তা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিলেন বিধায়ক। এবার সেই ছবি ভাইরাল হওয়ার জন্য দলেরই এক নেতার দিকে দায় ঠেললেন ইদ্রিস। বিধায়কের বক্তব্য, এই কাজ করেছেন মুক্তার হাসান। তিনি সরলপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। তিনি আবার বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাইবার সেলের সভাপতিও। বিধায়কের বক্তব্য, ‘এটি একটি চক্রান্ত। সেই চক্রান্তটি খুঁজে বের করা হোক। আমি তো পোস্ট করিনি। তিনি কেন এটি পোস্ট করলেন?’  বিধায়কের বক্তব্য, তিনি বিডিও-র চেয়ারে বসে বৈঠক করেননি। ইদ্রিস আলি এর আগে বলেছিলেন, যিনি এই পোস্ট করেছেন, তিনি দলের কর্মী হলেও উনি দালালি করেন।

এদিকে বিধায়কের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন ভগবানগোলা ব্লক ২ তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, ‘একজন দলের বিধায়ক হয়ে দলের অঞ্চল সভাপতিকে এইরকম মন্তব্য করা বিধায়কের উচিত হয়নি।‘ তিনি আরও বলেন,  ‘মুক্তার হাসান একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী আবার একজন দক্ষ সংগঠকও।’ বিধায়ক এই গোটা কাণ্ডের জন্য যাঁর দিকে আঙুল তুলছেন সেই মুক্তার হাসানের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলছেন, ‘আমি বহরমপুর – মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সাইবার সেলsর সভাপতি। আমরা প্রতিনিয়ত দলের বিভিন্ন কর্মসূচি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে থাকি । বিধায়কের আপ্ত সহায়ক মফিজুল ইসলাম প্রতিদিন আমাকে বিধায়কের বিভিন্ন ফটো পাঠান আর সেগুলি পোস্ট করার জন্য বলেন। সেই দিনের কর্মসূচি প্রথমে বিধায়কের পেজ থেকেই লাইভ করা হয়েছিল। পরে আমরা পোস্ট করি। বিধায়ক পরে ওনার পেজ থেকে পোস্ট ডিলিট করে দেন। উনি ওনার ভুল আমার উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

বিধায়ক ইদ্রিস আলি যে তাঁকে দালাল বলে খোঁচা দিয়েছেন, সেই মন্তব্যেরও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুক্তার হাসান। বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন কার বাড়ি ভাঙচুর হচ্ছিল, কে টাকা নিয়েছে।’ মুক্তার হোসেন আরও বলেন, তিনি ২০১৭ সাল থেকে কন্ট্রাকটারি করছেন। তিনি পঞ্চায়েত বা বিডিও অফিসের কোনও কাজ করেন না। তিনি কাজ করেন জেলা পরিষদ এবং পিডব্লিউডির আন্ডারে। মুক্তারের দাবি, বিধায়ক মিথ্যে অভিযোগ করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে।