AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suicide : ফেসবুক রিলস নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝামেলা, বন্ধ ঘরে চরম সিদ্ধান্ত ১২ বছরের দিশার

Suicide : পরিবার সূত্রের খবর, ফেসবুক রিলস মায়ের সঙ্গে ঝামেলার পরেই অভিমানে নিজের ঘর বন্ধ করে দেয় ওই নাবালিকা। এরপর গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ে।

Suicide : ফেসবুক রিলস নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝামেলা, বন্ধ ঘরে চরম সিদ্ধান্ত ১২ বছরের দিশার
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2023 | 10:55 PM
Share

মুর্শিদাবাদ : টিকটকের জমানা গিয়েছে। জায়গা নিয়েছে ফেসবুক রিলস (Facebook reels)। মন খারাপ থেকে দেদার মজা, প্রেম থেকে পড়াশোনা নানা বিষয়ের উপর রিলস বানিয়ে লাইক, লাভ, কমেন্টের বন্যায় ভাসছে আজকের নেটিজেনরা। এবার সেই রিলস বানানোর জন্য আলমারী থেকে মায়ের শাড়ি বের করতে গিয়েছিল ১২ বছরের দিশা বাগদি। কিন্তু, বকা দিয়েছিল মা। আর তাতেই অভিনানে আত্মঘাতী হল ওই কিশোরী। হৃদয়বিদারক এই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানার পারশালিকা গ্রামে। কিছুদিন আগেই মোবাইলে আসক্তির কারণে বাবার কাছে বকা খেয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের কালনার এক ইংরাজি অনার্সের ছাত্রী। অভিমানে মুহূর্তেই সে মুখে ঢেলেছিল বিষ। তবে মুর্শিবাদের দিশা আত্মহত্যার (Suicide) জন্য বেছে নেয় অন্য পথ। 

পরিবার সূত্রের খবর, ফেসবুক রিলস মায়ের সঙ্গে ঝামেলার পরেই অভিমানে নিজের ঘর বন্ধ করে দেয় ওই নাবালিকা। এরপর গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ে। পরিবার ও প্রতিবেশীরাই ঘরের জানলা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে। নিয়ে যাওয়া হয় বড়ঞা গ্রামীন হাসপাতালে। তবে ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। ইতিমধ্যেই ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে য়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের মা বলেন, “ও ঘরে ফোন ঘাঁটছিল। ফেসবুকে ভিডিও করছিল। আমি ভাত খাওয়ার জন্য ডাকছিলাম। কিন্তু, কিছুতেই আসছিল না। ঘরে গিয়ে দেখি ও দুটো শাড়ি বের করছিল। আমি বলেছিলাম আগে ভাত খেয়ে নে তারপর এসব করবি। আমি কাপড় দুটো কেড়ে নিই। তখনও ও কিছু বলেনি। আমি আমার কাজে চলে যাই। জল আনতে যাই। এসে দেখি ও ঘর বন্ধ করে দিয়েছে। জানলা দিয়ে দেখি গলায় গামছা দিয়ে ঝুলছে। এর আগে কোনও ঝামেলা হয়নি। কিচ্ছু হয়নি। আচমকা এ কাজ করে ফেলল।”