TMC MLA: ‘মায়ের কোল থেকেও বাচ্চা পড়ে যাচ্ছে, রাস্তাটা করে দিন এবার’, বিধায়ককে দেখেই ক্ষোভ
Murshidabad: গ্রামবাসীদের দাবি, পাঁচ বছর ধরে জজান থেকে পাঁচথুপি পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা।
মুর্শিদাবাদ: ভাঙা রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু অবধি জল জমে যায়। প্রায় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি এক মায়ের কোল থেকে বাচ্চা পড়ে গিয়ে নাকও ফেটে গিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, থানা, বিডিও থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জানাতে কাউকেই বাদ রাখেননি। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণেই রাস্তার কাজ আর হচ্ছে না। রবিবার এলাকায় গিয়েছিলেন ‘দিদির দূত’ বিধায়ক (MLA Burwan)। তাঁকে সামনে পেয়েই ছেঁকে ধরেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কার্যত হাতে-পায়ে ধরতে বাকি রাখেন কেউ কেউ। আর্তি একটাই, “এভাবে চললে মানুষগুলো তো পথেই মরে যাবে। কিছু একটা করুন।” এদিন সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর-১ ব্লকে দেখা গেল এই ছবি। ব্লকের জজান গ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। জজান গ্রামে বিধায়ক প্রবেশ মাত্রই তাঁকে ঘিরে ধরেন এলাকার লোকজন। কেউ কেউ গলাও চড়ান নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরে।
গ্রামবাসীদের দাবি, পাঁচ বছর ধরে জজান থেকে পাঁচথুপি পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা। দীর্ঘদিন প্রশাসনের কাছে দরবার করেও এই রাস্তা সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ। বিধায়ককে তাঁরা জানিয়ে দেন, দ্রুত এই রাস্তা সংস্কার করতে হবে। না হলে আগামিদিনে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন গ্রামবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা তাপসকুমার ঘোষ বলেন, “আমাদের রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। ২-৩ বছরের বেশি সময় ধরে এক অবস্থা। তিনবার কালভার্টের মাপ নেওয়া হল। আজ অবধি কাজ হল না। বর্ষায় ভোগান্তি চরমে ওঠে। পরশু দিনই এক মহিলার কোল থেকে এক বাচ্চা পড়ে যায়। নাক ফেটে যায় বাচ্চাটার। বিধায়ককে বলা হল সবটাই। বিডিওকেও জানিয়েছিলাম। কাজ কিছুই হয়নি।”
আরেক বাসিন্দা তরুণ মণ্ডলের কথায়, “এত খারাপ রাস্তা, নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। এই রাস্তা করে দিতেই হবে। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি বিধায়ককে।” হানিফ শেখ নামে এক ব্যক্তি বলেন, “রাস্তা না হলে ঘেরাও হবে> পথ অবরোধ করব আমরা।” যদিও বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, “যেসব রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ, পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় সেগুলিকে আনা হয়েছে। আমাদের ব্লক সভাপতি চিঠিও পাঠিয়েছেন। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি রাস্তাটি হয়ে যাবে।”