Murshidabad Murder: ‘ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করত মেয়েকে’, আক্রোশ থেকেই বহরমপুরে কলেজ ছাত্রীকে কোপ বলছেন বাবা
Murshidabad: বহরমপুরের গোরাবাজারে একটি মেসে থাকতেন মালদহের ওই তরুণী।
মুর্শিদাবাদ: বহরমপুরে কলেজ ছাত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল সুশান্ত চৌধুরী নামে মূল অভিযুক্তকে। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ ঘটনার দিন রাতেই সামশেরগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে। পুলিশ ওই যুবককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চায়। কী কারণে এই ঘটনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই পরিকল্পনায় আরও কেউ যুক্ত কি না তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রণয়ঘটিত বিবাদের জেরেই এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। মালদহের ওই তরুণী মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে যে মেসে থাকতেন, তার সামনেই সোমবার ভরসন্ধ্যায় প্রথমে গুলি ও পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে মালদহের ইংরেজবাজারে যেখানে ওই তরুণীর বাড়ি সেখানে সোমবার সন্ধ্যা থেকেই আতঙ্কের ছবি। এলাকার লোকজন জানেন, বহরমপুরে পড়াশোনা করেন পাড়ার মেয়েটি। ছুটিছাটায় বাড়ি ফেরেন। তাঁর যে এমন পরিণতি হবে ভেবেই শিউরে উঠছেন তাঁরা। এদিন সন্ধ্যার পর থেকে টেলিভিশনের পর্দাতেই চোখ আটকে পাড়ার লোকজনের।
সোমবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার। তিনি জানান, নিহত তরুণী মালদহের বাসিন্দা। বহরমপুরে থেকে পড়াশোনা করতেন। সোমবার সন্ধ্যায় নৃশংস ঘটনার পর জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা ও মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় নাকা চেকিং শুরু হয়। ১০টার পর গ্রেফতার করা হয় সুশান্ত চৌধুরী নামে ওই যুবককে। তিনি পুকুরিয়া থানা এলাকার পীরগঞ্জের বাসিন্দা। উল্লেখযোগ্যভাবে ধৃতের কাছ থেকে একটি খেলনা বন্দুক পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।
বহরমপুরের গোরাবাজারে একটি মেসে থাকতেন মালদহের ওই তরুণী। বহরমপুর গার্লস কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। সোমবার সকালেও বাবার সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা হয় তাঁর। মেসের আবাসিকরা জানান, দুপুরে শপিং মলে যাচ্ছেন বলে বের হন তিনি। এরপরই সন্ধ্যা নাগাদ মেসের সামনে তাঁর উপর হামলা হয়। সূত্রের খবর, ওই তরুণীর সঙ্গে সুশান্তের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মেয়েটির পরিবার তা মানতে চায়নি। এরপরই সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ে। তাতেই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওই যুবক এমন ঘটনা ঘটালেন কি না তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
নিহত ছাত্রীর বাবা স্কুলে পড়ান। মেয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে তড়িঘড়ি মালদহ থেকে মুর্শিদাবাদে পৌঁছন। তিনি বলেন, “ওদের মধ্যে একটা লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল। সেটা আমরা গ্রাম্যভাবে মিটিয়ে নিই। ওই ছেলেকে বলি তুমি এখন পড়াশোনা কর। আমার মেয়েও পড়াশোনা করুক। নিজেদের পায়ে দাঁড়াও। তারপর দেখা যাবে। কিন্তু ছেলেটা বারবার হুমকি দিত মেয়েকে। ওকে ব্ল্যাকমেল করত। একসঙ্গে ছবি হয়ত ছিল।”
আরও পড়ুন: Murshidabad Murder: দুপুরে রুমমেটদের বলেছিলেন শপিং মলে যাচ্ছেন, মেসের সামনেই গুলির পর কোপ ছাত্রীকে
আরও পড়ুন: স্লিভলেস নীল টপ ভাসছে রক্তে, মেসের সামনে পড়ে রয়েছেন তরুণী… ভরসন্ধ্যায় কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে ‘খুন’