Extra Marital Affair: রাতের অন্ধকারে এক ঘরে শাশুড়ি-জামাই, হাতেনাতে ধরল পাড়ার লোকেরা… চোকাতে হল চরম মূল্য

Murshidabad: অভিযোগ, তিনদিন আগে নুরসেফার স্বামী মুর্শিদাবাদে যান। এরপরই জামাই চলে আসেন বাড়িতে।

Extra Marital Affair: রাতের অন্ধকারে এক ঘরে শাশুড়ি-জামাই, হাতেনাতে ধরল পাড়ার লোকেরা... চোকাতে হল চরম মূল্য
এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2022 | 11:53 AM

মুর্শিদাবাদ: রাতের অন্ধকারে শাশুড়ির সঙ্গে এক ঘরে জামাইকে দেখে ফেলেন আত্মীয়রা। অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় গণপ্রহার। মারধরে ওই মহিলার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যুঝছেন জামাই। হরিহরপাড়া থানার সর্বাঙ্গপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, বহুদিন ধরেই এই ঘটনা চলছে। তবে হাতেনাতে ধরতে পারছিল না পরিবারের কেউ। সোমবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হতেই তুমুল হইহই শুরু হয় এলাকায়। এরপরই উত্তম মধ্যম চলে বলে অভিযোগ। যদিও ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির তরফে দাবি করা হয়েছে, জামাই-ই শাশুড়িকে খুন করেছেন।

মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার সর্বাঙ্গপুর এলাকা। সেখানে নুরসেফা বিবির পরিবার থাকেন। নুরসেফা বাড়িতে একাই থাকেন বলে দাবি পাড়ার লোকজনের। তাঁর স্বামী সবজির ব্যবসা করেন। বেশির ভাগ সময়ই বাইরে থাকেন। অভিযোগ, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই জামাই মফিজুল মণ্ডলের (৩৮) সঙ্গে সময় কাটান শাশুড়ি নুরসেফা।

অভিযোগ, তিনদিন আগে নুরসেফার স্বামী মুর্শিদাবাদে যান। এরপরই জামাই চলে আসেন বাড়িতে। অভিযোগ, সোমবার রাতে একই ঘরে শাশুড়ি এবং জামাইকে দেখে মারধর শুরু করেন এলাকার কয়েকজন। বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলেই নুরসেফার মৃত্যু হয়। মফিজুলকে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।

মফিজুল মণ্ডল অবশ্য জানান, তাঁর শ্বশুর ও শ্যালকরা তাঁদের ভুল বুঝে মারধর করেন। হরিহরপাড়া থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখান থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে হরিহরপাড়া থানা পুলিশ। নিহতের ভাশুর জানান, “বহরমপুরে আমার ভাই সবজির ব্যবসা করে। তিনদিন বাড়িতে নেই। জামাই দু’দিন ধরে এখানে আছে। বাড়িতে তরোয়াল, আরও কীসব অস্ত্র এনে রেখেছে। বলে নাকি যে আসবে তাঁকে কাটবে। মফিজুলই মেরেছে। মেরে এখন অন্যের নামে দোষ চালানোর চেষ্টা করছে। গ্রামের সকলেই জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এসব চলছে। কাউকে মানেও না। কোনও কাজ করে না। কানে ফোন, সারাদিন বসে থাকে।”