মেদিনীপুর: বাংলাদেশের একাংশের ভারত-বিরোধিতা নিয়ে বাংলায় সব মহলই তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারাও বলছেন, বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, তা ঠিক নয়, তা ইসলাম-বিরোধী। আর এবার মুসলমিদের উৎসবে বাংলাদেশিদের সামিল না করার দাবি উঠল মেদিনীপুরে।
প্রতি বছর ‘উরস পাক’ নামে মুসলমিদের এক উৎসবে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে আসে এক বিশেষ ট্রেন। ১৯০৩ সাল থেকে এই বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়। যে সব মানুষ তীর্থযাত্রী হিসেবে উৎসবে যোগ দিতে চান, কিন্তু টাকা খরচ করে আসতে পারেন না, তাঁদের জন্যই এই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই রীতি এখনও চলছে। তবে এবার এলাকার মানুষজন চাইছেন, যেন বাংলাদেশ থেকে কোনও ট্রেন না আসে।
উরস পাক স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ইতিমধ্যেই ইমেইল করেছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি শুভজিৎ রায়। তাঁর দাবি, বাংলাদেশে ক্রমেই বাড়ছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। চিন্ময় কৃ দাসকে বিনা বিচারে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা।
উরস পাক স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ইতিমধ্যেই ইমেইল করেছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি শুভজিৎ রায়। তাঁর দাবি, বাংলাদেশে ক্রমেই বাড়ছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বিনা বিচারে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা।
প্রতি বছর ৪ ফাল্গুন মেদিনীপুর শহরের জোড়া মসজিদে উরস উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে আসে বিশেষ ট্রেন। প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজার মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ আসেন এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। বিজেপি নেতার আবেদন, এবার ভারত সরকার যেন এই বিশেষ ট্রেন দেশে প্রবেশ করার অনুমতি না দেয়। এই আবেদন জানিয়েই ইমেইল করেছেন জেলা বিজেপির এই নেতা। যদিও এই নিয়ে উরস উৎসব কমিটির তরফে মেলেনি কোনও প্রতিক্রিয়া।