Abhishek Banerjee : একরত্তির হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচারে লাগবে ১০ লক্ষ টাকা! খবর পেয়ে নিরুপায় বাবার পাশে দাঁড়ালেন অভিষেক
Nadia : ৪ দিনের শিশুর হৃদযন্ত্রে গোলযোগ। অস্ত্রোপচারে লাগবে ১০ লক্ষ টাকা। নিরুপায় বাবার পাশে দাঁড়ালেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নদিয়া : এক একরত্তি শিশুর হৃদযন্ত্রে বসানো হবে স্টেন্ট। শিশুটির বয়স মাত্র চার দিন। চার দিনের শিশুরই বুক চিঁড়ে করতে হবে তিনবার অপারেশন। খরচ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। পেশায় শিক্ষক বাবার সেই আর্থিক ক্ষমতা নেই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পাশে পেলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নিজের সন্তানকে বাঁচাতে পারার সম্ভাবনা দেখে খুশি শিশুর পরিবার।
এই গোটা ঘটনার সূত্রপাত হয় সোশ্যাল মিডিয়া ঘিরে। ফেসবুকে পেশায় চিত্র সম্পাদক অনির্বাণ মাইতি শিশুটিকে নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি শিশুটির ছবি দিয়ে লেখেন, “এই বাচ্চাটির তিন দিন বয়স। হার্টে চারটে স্টেন্ট বসাতে হবে।’ তিনি ফেসবুক পোস্টে জানান, শিশুটি বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্য একটি নামী হাসপাতালে কথা হয়েছে। তিনি আরও লেখেন, ‘সেখানে যা খরচ তা ওর বাবা মায়ের বহনের ক্ষমতা নেই আমাদের অনেকের মতো। বাচ্চাটিকে এসএসকেএম-এ ভর্তি করার কোনও ব্যবস্থা করার আবেদন নিয়ে আমার কাছে ফোন এসেছে। আসলে বাবা মায়েরা সন্তানের জন্য খড়কুটো পেলেও আঁকড়ে ধরেন। আমার এত ক্ষমতা সত্যিই নেই শিশুটিকে এসএসকেএম-এ ভর্তি করতে পারি।” পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়। সেই পোস্টটি কোনও ভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর টিমের গোচরে আসে। দেখামাত্রই হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে চার জন দমদমের ওই বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তারপর শিশুটিকে নিয়ে কলকাতার এক নামি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার অস্ত্রোপচার করার কথা হয়েছিল। গতকাল রাতেই আরটিপিসিআর পরীক্ষা করিয়ে শিশুটিকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। এখন সেই হাসপাতালেই অস্ত্রোপচারের সব ব্যবস্থা করে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যয়বহুল অস্ত্রোপচারের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে।
নদিয়া জেলার হরিণঘাটা থানার মহাদেবপুরের বাসিন্দা জয়ন্ত দেবনাথ পেশায় একজন শিক্ষক। গত ১২ জানুয়ারি বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জয়ন্ত ও তাঁর স্ত্রী পূজা দেবনাথ আচার্যের একটি ছেলে হয়। কিন্তু শিশুর জন্মের পরই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জানান, শিশুটির হৃদযন্ত্রে কোনও গুরুতর সমস্যা রয়েছে। পরীক্ষা করেও তা নিশ্চিত করা হয়। তারপর জয়ন্ত জানতে পারেন শিশুর তিনবার অস্ত্রোপচার করতে হবে। যার জন্য খরচ হবে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। তবে সেই ভার বহনের ক্ষমতা তাঁর নেই। সদ্যই দুই তিন বছর আগে হাবড়ার একটি স্কুলের শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন তিনি। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়ছিলেন চার দিনের শিশুর বাবা জয়ন্ত। তবে শেষ পর্যন্ত শিশুর চিকিৎসার বন্দোবস্ত হওয়ায় খুশি দম্পতি। এখন তাঁর গলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতার সুর।
আরও পড়ুন : Lockdown: বাড়ছে করোনার চাপ, সপ্তাহে চার দিন লকডাউন ঘোষণা ভগবানপুরে