AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nadia: জমাইষষ্ঠীতে যেতে পারেনি জামাই! শরীর খারাপের নাম করে বউকে আটকে রাখার অভিযোগ বাপের বাড়ির বিরুদ্ধে, থানায় যুবক

Nadia: যুবকের দাবি, অনেক কাকুতি-মিনতি করার পরেও ছাড়া হয়নি তাঁর স্ত্রীকে। কর্ণপাত করা হয়নি তাঁর বাড়ির লোকজনের কথাতেও। ওই যুবতী তাঁর কাছে ফিরে আসতে চাইলেও তাঁকে সেখানে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।

Nadia: জমাইষষ্ঠীতে যেতে পারেনি জামাই! শরীর খারাপের নাম করে বউকে আটকে রাখার অভিযোগ বাপের বাড়ির বিরুদ্ধে, থানায় যুবক
থানার দ্বারস্থ যুবক Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2025 | 7:19 PM

শান্তিপুর: একজনের বাড়ি নদিয়ার শান্তিপুর থানার বাগাছরা হাইস্কুল পাড়ায়। অন্যজনের ঘোড়ারিয়া দোলপাড়ায়। প্রেম করে বিয়েও করেছিল। শান্তিতেই কাটছিল সংসার। কিন্তু, হঠাৎ ছন্দপতন। বাপের বাড়ি গিয়ে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি ওই যুবতী। স্ত্রীকে ফিরে পেতে শেষ পর্যন্ত থানার দ্বারস্থ যুবক। যুবকের নাম সমীর দাস। মাসখানেক আগে শান্তিপুর থানার ঘোড়ারিয়া দোলপাড়ার মুনমুন বর্মণ নামে এক যুবতীকে বিয়ে করে। সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন চললেও সদ্য মেয়ের বাড়ি থেকে মেনেও নেয়। জামাইষ্ঠীতে নিমন্ত্রণও করেছিল জামাইকে। কিন্তু, কাজের ব্যস্ততায় যেতে পারেননি সমীর। এরইমধ্যে যুবতীর বাড়ি থেকে আসে চিন্তার খবর। জানানো হয় তাঁর বাবার খুব শরীর খারাপ। 

বাবার অসুস্থতার কথা শুনে তড়িঘড়ি বাপের বাড়ি ছোটেন ওই যুবতী। আর এখানেই শুরু হয়ে যায় অন্য খেলা। সমীরের অভিযোগ, স্ত্রীকে নিয়ে ঘোড়ালিয়াতে শ্বশুরবাড়ি গেলেও সেখানে তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আটকে রাখা হয় তাঁর স্ত্রীকে। তাঁকে গালাগালি করার পর মারধর করে আটকে রাখা হয়। 

যুবকের দাবি, অনেক কাকুতি-মিনতি করার পরেও ছাড়া হয়নি তাঁর স্ত্রীকে। কর্ণপাত করা হয়নি তাঁর বাড়ির লোকজনের কথাতেও। ওই যুবতী তাঁর কাছে ফিরে আসতে চাইলেও তাঁকে সেখানে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। তাই দ্রুত স্ত্রীকে ফিরে পেতে এখন তিনি পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। সমীর বলছেন, “আমাদের সম্পর্কটা কয়েকদিন আগেই ওরা মেনে নেয়। জামাইষষ্ঠীতে নিমন্ত্রণও করেছিল। কিন্তু আমার কাজ ছিল বলে যেতে পারিনি। এরইমধ্যে ওর মা আমাদের বাড়িতে আসে। বলে ওর বাবার শরীর খারাপ। ওকে নিয়ে যায়। আমরাও যাই। আমাদের সামনেই ওকে মারধর করে আটকে রাখে। আমাদেরও মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। আমি শান্তিপুর থানায় অভিযোগ করেছি। এবার পুলিশ কী করে দেখি!”