তদন্তে যেতেই ঘিরে ধরল একদল, খুলে দেওয়া হল সিবিআইয়ের গাড়ির চাকার হাওয়া

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 28, 2021 | 11:31 AM

Post Poll Violence: নদিয়ার চাপড়া থানা এলাকায় হৃদয়পুর গ্রামে ভোটের ফল প্রকাশের পর ধর্ম মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মী খুন হন।

তদন্তে যেতেই ঘিরে ধরল একদল, খুলে দেওয়া হল সিবিআইয়ের গাড়ির চাকার হাওয়া
নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

নদিয়া: বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ল সিবিআই। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়ির চাকার হাওয়াও খুলে দেন বিক্ষোভকারীরা। শনিবার নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়।

বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বিজেপি কর্মীদের খুনের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা নিজেদের ঘরে ফিরতে পারছেন না, মহিলা বিজেপি কর্মীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। একাধিক জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে। এর পরই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে।

অভিযোগ, নদিয়ার চাপড়া থানা এলাকায় হৃদয়পুর গ্রামে ভোটের ফল প্রকাশের পর ধর্ম মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মী খুন হন। গত ১৪ মে ধর্ম মণ্ডল-সহ চার বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ধর্ম মণ্ডলের বাড়িতে শুক্রবারই গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের প্রতিনিধিরা। ফের শনিবার সেখানে যান তাঁরা। গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে ঢোকে সিবিআই।

অভিযোগ, হৃদয়পুর গ্রামপঞ্চায়েতে তখন ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের ডাটা এন্ট্রির কাজ করছিল এক কর্মী ও নৈশ রক্ষী। সিবিআই সেখানে ঢুকে বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা সে খবর জানার পরই গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত করেন। বেরিয়ে আসেন এলাকার লোকজনও। মুহূর্তে পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠে। তুমুল হইহট্টগোল শুরু হয় এলাকায়। সিবিআইকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

গ্রামবাসী ও তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, সিবিআই তদন্তে পক্ষপাতিত্ব করছে। এরপরই সিবিআইয়ের গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে চাপড়া থানা থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে।

স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, “সকাল তখন সাড়ে ৭টা বাজে। হঠাৎ শুনতে পাই পঞ্চায়েত অফিসে সিবিআই এসেছে। সিআরপিএফ নিয়ে রেড করছে। কোনও স্থানীয় পুলিশ নেই। আমরা বাইরে যাই। পঞ্চায়েত অফিসে তখন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দুয়ারে সরকার প্রকল্পের তথ্য নথিভুক্ত করছিল। সঙ্গে রাতে যিনি থাকেন, ওই ব্যক্তিও ছিলেন। এসে শুনি ওদের মধ্যে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এসেছে সিবিআই। ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, ছবি তোলে চলেও যায়। আধ ঘণ্টা পর দ্বিগুণ ফোর্স নিয়ে এসে পঞ্চায়েতে তল্লাশি শুরু করে। কেন এইসব প্রকল্প হচ্ছে তা নিয়েও কথা বলে।” এরপরই শুরু হয় গোলমাল।

উল্লেখ্য, ধর্ম মণ্ডলের খুনের ঘটনায় তাঁর পরিবারের তরফে মোট ২২ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয় চাপড়া থানায়। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে। তবে বাকি অভিযুক্তরা এখনও অধরা। আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটা গুন্ডামি করার জায়গা নয়, বিশ্বভারতীর ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

Next Article