শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটা গুন্ডামি করার জায়গা নয়, বিশ্বভারতীর ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

Visva Bharati University: সম্প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তিনজন ছাত্র ছাত্রীকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয়। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার প্রথমে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিস এবং পরে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু হয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটা গুন্ডামি করার জায়গা নয়, বিশ্বভারতীর ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2021 | 9:44 AM

বীরভূম: ছাত্র বিক্ষোভে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সেন্ট্রাল অফিসের পর শুক্রবার রাতভর উপাচার্যের বাড়ির সামনে বসে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্র-ছাত্রীরা। উপাচার্য না দেখা করলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এদিকে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের এ হেন আচরণে ‘গুন্ডামি’ দেখতে পাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার নিউ টাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটা গুন্ডামি করার জন্য নয়।’

শুক্রবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় যে দফতর তা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। সেই বিক্ষোভ তুলতে গিয়ে কার্যত হাতাহাতি বেধে যায় বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। পড়ুয়ারা অভিযোগ তোলেন, বিশ্বভারতী নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের গায়ে হাত তুলেছে। এরপরই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়কের গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান পড়ুয়ারা। তখন তিনি পড়ুয়াদের গাড়ি চাপা দিতে উদ্যত হন বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন আন্দোলনকারীরা। এর পরই রাতে উপাচার্যের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন পড়ুয়াদের একাংশ। অভিযোগ, রাতভর উপাচার্যের বাড়ির সামনে বসে থাকেন তাঁরা। মুখে কখনও চারণ কবি মুকুন্দ দাসের ‘ভয় কী মরণে রাখিতে সন্তানে’র কলি, কখনও আবার রবীন্দ্রনাথের গান।

সম্প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তিনজন ছাত্র ছাত্রীকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয়। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার প্রথমে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিস এবং পরে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাতভর ঘেরাও চলে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, উপাচার্যকে তাঁদের দাবিদাওয়া মেনে নিতে হবে। অনৈতিক ভাবে পড়ুয়াদের বরখাস্তও করা চলবে না।

বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে ক্রমেই তীব্র হচ্ছে আন্দোলন। নিন্দায় সরব হচ্ছেন রাজ্যের শিক্ষক-ছাত্র মহলের বড় অংশ। যাদবপুর, উত্তরবঙ্গ, কল্যাণী, প্রেসিডেন্সি-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও অধ্যাপক সংগঠনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা ও পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা)। বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল নিদান দিয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তীকে তিনদিন ঘেরাও করা হবে। থাকবেন অধ্যাপক-পড়ুয়াদের সঙ্গে থাকবে তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরাও।

এদিন এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিমবাংলায় শিক্ষা ব্যবস্থার যেমন অন্তর্জলি যাত্রা হয়ে গিয়েছে। আইন শৃঙ্খলারও তাই অবস্থা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটা গুন্ডামি করার জন্য নয়। রাজনীতি করার জন্য নয়। আমাদের কাছে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী একটা গর্বের বিষয়। সারা দুনিয়ায় বিখ্যাত। কবি গুরুর নাম জড়িয়ে রয়েছে। এখানে যদি রাজনীতির আখড়া করতে চায়, আমার ধারনা তারা যে বাংলার ঐতিহ্য পরম্পরার কথা বলেন নিজের হাতে সেটা শেষ করছেন।” আরও পড়ুন: সারদার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম কুণালের, তৃণমূল নেতার দাবি, ‘স্নায়ুর চাপ সৃষ্টির কৌশল’