CAA Certificate: এবার আর ওঁরা বাংলাদেশি নন ভারতীয়, CAA-তে আবেদনের ১ মাসের মাথায় নাগরিকত্ব পেলেন রানাঘাটের দম্পতি
Nadia: এরপর ছাব্বিশের ভোটের আগে বাংলায় এসআইআর শুরু হয়। তবে, ২০০২ সালের তালিকায় ছিল না সিকদার দম্পতির নাম। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা ক্যাম্পে গিয়ে নাগরিকত্বের আবেদন পত্র জমা দেন। এবার সেই আবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয় ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট। আর তা হাতে পেয়ে খুশি এই দম্পতি। এবার তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

নদিয়া: কেন্দ্রীয় সরকার আগেই বলেছিল, বাংলাদেশি মুসলমান বাদে হিন্দু সহ বাকি সব ধর্মীয় শরণার্থীদের সিএএ-তে আবেদন করলে মিলবে নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট। এসআইআর (SIR) আবহে এবার নদিয়ার রানাঘাটে নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস বাংলাদেশি দম্পতির। তাঁরা জানিয়েছেন, সিএএ (CAA) ক্যাম্পে আবেদন করেছিলেন। আর আবেদন করে নাগরিকত্ব পেয়েছেন তাঁরা। এই দম্পতি ১০ই অক্টোবর আবেদন করেছিলেন। আর ১৯ নভেম্বর হাতে পেয়েছেন সার্টিফিকেট।
নদিয়ার তাহেরপুর থানার অন্তর্গত কামগাছি জয়পুরের বাসিন্দা লাতুরাম সিকদার এবং তাঁর স্ত্রী পদ্ম সিকদার। লাতুরাম বাংলাদেশের সনাতন পুরে থাকতেন। আর পদ্ম শিকদার থাকতেন বাংলাদেশের পন্ডিতপুরে। বেশ কয়েক বছর আগে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে এদেশে চলে আসেন। সীমান্ত পার করে নদিয়ার তাহেরপুরে এসে বসবাস করেন। জানা যাচ্ছে, তাঁদের কাছে ভারতীয় আধার কার্য আগে থেকেই ছিল।
এরপর ছাব্বিশের ভোটের আগে বাংলায় এসআইআর শুরু হয়। তবে, ২০০২ সালের তালিকায় ছিল না সিকদার দম্পতির নাম। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা ক্যাম্পে গিয়ে নাগরিকত্বের আবেদন পত্র জমা দেন। এবার সেই আবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয় ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট। আর তা হাতে পেয়ে খুশি এই দম্পতি। এবার তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
এ বিষয়ে পদ্ম শিকদার জানাচ্ছেন, “আমরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। আর সেই শংসাপত্র আমরা হাতে পেয়েছি। আমরা খুব খুশি এবং সকলকে অনুরোধ করব কেন্দ্র সরকার যে প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্বের আবেদন পূরণ করতে বলছে সকলে তা করুন।” অপরদিকে, লাতুরাম বলেন, “কট্টরপন্থীদের অত্যাচারে বাংলাদেশের হিন্দুরা অত্যাচারিত। এক কাপড়ে চলে এসেছিলাম। ৩৫ থেকে ৩৬ বছর আগে এসেছিলাম। এখানেই বড় হয়েছিলাম। সুষ্ঠভাবে বসবাস করছিলাম। তবে এসআইআর-এর সময় আমি একটু চিন্তিত ছিলাম যে আমাদের কী হবে। কারণ ২০০২ সালে নাম ছিল না। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো বলেই ছিলেন যে হিন্দু শরণার্থীদের বাংলাদেশ যেতে হবে না। আমাদের যদি নাম নাও থাকে তাহলেও আমরা নাগরিকত্বের আবেদন করলে কার্ড পাব। সেই কার্ডের মধ্যে দিয়ে ভোটাধিকার পাব। এই CAA কার্ডের মধ্যে দিয়ে আমরা ভোটাধিকার ও নাগরিকত্ব পাব। আমাদের অনেকের হেয়ারিং হয়েছে। আর হেয়ারিং হওয়ার পরই কার্ড চলে আসছে।”
অন্যদিকে, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জি বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই জানিয়েছিলাম যে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই দুই দম্পতি নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আগামী দিনে যারা আবেদন করবেন তারা ও নাগরিকত্ব পাবেন।” এখানে উল্লেখ্য, এর আগে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রীও।
