Suvendu Adhikari: ‘আগে বলতাম নন-এমএলএ মুখ্যমন্ত্রী, এখন বলি কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী, বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন’
Suvendu Adhikari: "মানুষ আমাকে বিরোধী দলনেতা করেছে আর ওঁনাকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার বাঁচানোর জন্য দু'বার ভোটে দাঁড়াতে হয়েছে। আগে বলতাম নন এমএলএ মুখ্যমন্ত্রী, এখন বলি কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী।''
নদিয়া: “কিছু চাইতে এমএলএ-রা উঠলেই কান ধরে বসিয়ে দিচ্ছেন। আর কিছু নেই, সরকার দেউলিয়া।” নদিয়ার হাঁসখালি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড়া আক্রমণ বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতাকে ‘কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী’ বলে আক্রমণ শানালেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
বুধবার নদিয়ার হাঁসখালির সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, “এমএলএ-রা উঠলেই কান ধরে ওঠবস করাচ্ছেন। বলছেন, ‘কিচ্ছু চাইবে না। নো রাস্তা, নো সেতু কিচ্ছু হবে না। আমি দেউলিয়া। আমি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী করতে গিয়ে এ রাজ্যের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছি।”
উল্লেখ্য, একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন আর্জি জানালেই জুটেছে বকুনি। কোথাও মমতা জানিয়েছেন, যে কাজ হয়েছে সেগুলো মানুষের কাছে আগে পৌঁছে দেওয়া হোক। কোথাও বলেছেন, টাকা দরকার হলে এবার ম্যাজিশিয়ন আনুন তাঁরা। সেই প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল সুপ্রিমোকে খোঁচা দিলেন শুভেন্দু। তাঁর মন্তব্য, ‘উনি সাফ বলে দিয়েছেন, আমার কাছে কোনও টাকা নেই।’
শুভেন্দু যোগ করেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হলদিয়াতে সরকারি প্রোগ্রামে এসেছিলেন ৫ জানুয়ারি, ২০২১। সেই কর্মসূচিতে তিনি বলেছিলেন যেদিন রাজ্য সরকার আমার কাছে কৃষকদের তালিকা পাঠাবে, আমি সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অ্যাকাউন্টে (ব্যাঙ্ক) পিএম কিষানের টাকা পাঠিয়ে দেব। ভারতীয় জনতা পার্টি ৭৩ টা আসন জিতেছে (বিধানসভা ভোট)। তৃণমূল সরকার গড়েছে। যদিও শ্রীচৈতন্যদেব, হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুরের আশীর্বাদে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে দিয়েছি।”
এর পর একুশের বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, “মানুষ আমাকে বিরোধী দলনেতা করেছে আর ওঁনাকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার বাঁচানোর জন্য দু’বার ভোটে দাঁড়াতে হয়েছে। আগে বলতাম নন এমএলএ মুখ্যমন্ত্রী, এখন বলি কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী।”
শুভেন্দুর দাবি রাজ্যে বিজেপি সরকার না গড়লেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর কথা রেখেছেন। তিনি কৃষকদের টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু তৃণমূল সব জায়গায় রাজনীতি করেছে। ভ্যাকসিনে রাজনীতি করেছে। মাত্র ৩১ লক্ষ কৃষককে প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিজেপির দাবি আরও ৪২ লক্ষ কৃষককে পিএম কিষানের টাকা পাইয়ে দিতে হবে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী টাকা পাঠানোর জন্য প্রস্তুত, দাবি বিরোধী দলনেতার।
তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যে সারের কালোবাজারি হচ্ছে। এদিকে অতি বর্ষণে নদিয়া জেলার ফুলচাষ শেষ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলির আলু চাষ একদম ‘খতম’। পঞ্জাব থেকে যে আলুবীজ আনা হচ্ছে সেটাও নিম্নমানের বলে রাজ্যকে খোঁটা শুভেন্দুর। জানান, চাষিরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁদের পরিবারকে নামমাত্র ক্ষতিপূরণ দিয়ে ফর্মে সই করিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: Kejriwal on TMC: দিদি-ভাইয়ের সম্পর্কে ফাটল! গোয়াতে তৃণমূল প্রতিযোগিতায় নেই, জানালেন কেজরীবাল