কৃষ্ণনগর: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অরক্ষিত এলাকা নিয়ে চিন্তা ছিলই। এবার সেই চিন্তা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গেল। এবার ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকেই রহস্যজনক বাঙ্কারের হদিশ পেল বিএসএফ। কৃষ্ণনগরের টুঙ্গি বর্ডার আউটপোস্ট এলাকার কিছুটা দূরেই মিলল তিনটি ভূগর্ভে থাকা বাঙ্কারের হদিশ। তা নিয়েই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
বিএসএফের গোয়েন্দা শাখা সূত্রে খবর, কুয়াশাকে অস্ত্র করে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে থাকা দালালদের সাহায্যে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী এবং পাচারকারীরা এই বাঙ্কার তৈরি করেছিল। বাঙ্কারের উপরে রয়েছে একটি ঘর। ওই ঘরে আসলে পর্দার মতো ব্যবহার করা হতো। বলা হতো এই ঘর থেকে চাষবাসের কাজ দেখাশোনা করা হতো। কিন্তু, ওই ঘরের নিচেই ছিল তিন তিনটি বাঙ্কার। সেখান থেকে ইতিমধ্যে উদ্ধার রয়েছে ৫০ হাজার ফেনসিডিল। বিএসএফের ইন্টেলিজেন্স উইং সূত্রে খবর, বাঙ্কারের ভিতরে ফেনসিডিল রাখা থাকলেও মূলত এখানে অনুপ্রবেশকারী বা পাচারকারীদের লুকিয়ে রাখা হত। ভারতীয় দালালরা এই কাজ করতো বলেই বিএসএফ গোয়েন্দা উইং সূত্রে খবর।
বিএসএফ সূত্র বলছে, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে এই ধরনের বাঙ্কার উদ্ধারের ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। পাকিস্তান সীমান্তে এই ধরনের বাঙ্কার দেখা গেলেও, বাংলাদেশ সীমান্তে কোনদিন এই ধরনের বাঙ্কারের হদিশ পাওয়া যায়নি। বিএসএফের ইন্টেলিজেন্স উইং সূত্রে খবর, গত ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এই বাংকার তৈরি করা হয়েছে। এই বাঙ্কারের নিচে গর্ত খোঁড়ার কাজও শুরু হয়েছিল।
বিএসএফের ইন্টেলিজেন্স উইং মনে করছে, কাঁটাতারে নিচ থেকে বাংলাদেশের দিকে পর্যন্ত এই বাঙ্কার দিয়ে যাতে চলাচল করা যেত, অর্থাৎ অনুপ্রবেশ করা যেত তার ব্যবস্থাই করা হচ্ছিল। ইতিমধ্যে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের তরফে, চিরুনি তল্লাশি বিভিন্ন অংশে চালানো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।