Kalyani Gandhi Hospital: ‘পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে বলত দরজাটা বন্ধ করুন…’, কল্যাণীর সরকারি হাসপাতালের ভিতরেই আড়ালে আবডালে চলছে ব্যবসা!
Kalyani Gandhi Memorial Hospital: চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন করে দেওয়ার আগেই সেখানে জোর করে রক্ত টেনে পরীক্ষা করানোর জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে তা বিনামূল্যে নয়। তাতে সাধারণ গরিব মানুষের পকেট থেকে দু থেকে তিন হাজার টাকা চলে যাচ্ছে।
নদিয়া: সরকারি হাসপাতালের ঘর দখল করে বেসরকারি ল্যাবের বানিয়ে চলছে দালাল রাজ! অভিযোগ তেমনই। হাসপাতালে রোগী গেলেই পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে, নানান রকমের কথা বলে চাপ সৃষ্টি করে চলছে রক্ত থেকে মলমূত্র পরীক্ষা। কাঠগড়ায় রাজ্যের অন্যতম হার্ট স্পেশালিটি নদিয়ার কল্যাণী গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল। রোগী এবং তাঁর পরিবার আত্মীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালে রোগীকে আপদকালীন বিভাগে নিয়ে আসলেই দু-তিন জন রীতিমতো তাঁদের টেনে পাশের ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই ঘরে বসে থাকেন আবার কয়েকজন।
অভিযোগ, চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন করে দেওয়ার আগেই সেখানে জোর করে রক্ত টেনে পরীক্ষা করানোর জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে তা বিনামূল্যে নয়। তাতে সাধারণ গরিব মানুষের পকেট থেকে দু থেকে তিন হাজার টাকা চলে যাচ্ছে। হাসপাতালের ভিতরেই একটি বেসরকারি ল্যাব রমরমিয়ে তাদের ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।
প্রায় বছর খানেকের বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই বেআইনি ল্যাবের ব্যবসা। এবং তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশের মদতেই চলছে এই বেআইনি কারবার যেখানে একমাত্র শল্য চিকিৎসার হাসপাতাল কল্যাণী গান্ধী মেমোরিয়াল সেখানে প্যাথোলজি ল্যাব রয়েছে। কিন্তু সেখানে হয় না কোনও পরীক্ষা একপ্রকার বাধ্য হয়েই বেসরকারি ল্যাবে পরীক্ষা করাতে হয় রোগীর এবং তাঁর পরিবারের। নদিয়ার চাপড়া থেকে আসা হার্টের রোগীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমাকে তো ডাক্তার বলার আগেই ওঁরা বললেন, তোমার রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। একটা ঘরে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর বলছে ঘরের দরজাটা বন্ধ করে দাও। টাকাটা দাও। ৫ হাজার টাকা চেয়েছিল। আমি ৪৩০০ টাকা দিলাম।” আরেক রোগী বলেন, “একটা সরকারি ল্যাব নয়। বেসরকারি ল্যাব। আমার ১০০টাকা ডিউ ছিল। আমাকে থ্রেট করছে আপনাকে আমরা চিনি না। একশো টাকা আপনার রোগীর থেকে বুঝে নেব।”
মঙ্গলবারই রাতে ধরা পড়ল সেই ছবি। তবে ক্যামেরা দেখেই পালিয়ে যান ল্যাবের দালালরা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে কল্যাণী গয়েশপুর ফাঁড়ির পুলিশ যায়। কয়েকজন রোগীর পরিবারের আত্মীয়রা লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও উত্তর মেলেন। হাসপাতালের এক ইনচার্জ ক্যামেরার সামনে বলেন, রোগীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।