Kalyani Puja: রাজ্যপালের পুরস্কার ফেরানো লুমিনাসের পুজোকর্তা তৃণমূল কাউন্সিলর, খোঁচা বিজেপির
Nadia: এবার ম্যাকাওয়ের গ্র্যান্ড ক্যাসিনো লিসবোয়া দেখতে একাদশীতেও লম্বা লাইন পুজো মণ্ডপে। পুজোর ভিড় ঘিরে ইতিমধ্যেই লুমিনাস ক্লাব যেমন আলোচনার শীর্ষে। একইভাবে আরও একটি ঘটনায় আপাতত চর্চায় এই পুজো। রাজ্যপাল 'দুর্গারত্ন' পুরস্কার দিচ্ছেন বাছাই চার সেরা পুজোকে।
নদিয়া: এ জেলায় অন্যতম বড় বাজেটের পুজো হিসাবে গন্য হয় কল্যাণী আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাবের পুজো। চোখ ধাঁধানো আলোর খেলা আর থিমের চমকে ফি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেন এই পুজো মণ্ডপে। এতদিন তো নদিয়া কিংবা সংলগ্ন জেলা থেকে মানুষের ভিড় হত এই পুজো মণ্ডপে। এবার কলকাতা থেকেও মানুষ গিয়েছেন লুমিনাসে। এই পুজোর মূল উদ্যোক্তা অরূপ মুখোপাধ্যায় ওরফে টিঙ্কু। কল্যাণী শহর তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন তিনি। বর্তমানে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি। প্রতি বছরই এ পুজোর রোশনাই নজর কাড়ে।
গতবারের টুইন টাওয়ারের পর এবার ম্যাকাওয়ের গ্র্যান্ড ক্যাসিনো লিসবোয়া দেখতে একাদশীতেও লম্বা লাইন পুজো মণ্ডপে। পুজোর ভিড় ঘিরে ইতিমধ্যেই লুমিনাস ক্লাব যেমন আলোচনার শীর্ষে। একইভাবে আরও একটি ঘটনায় আপাতত চর্চায় এই পুজো। রাজ্যপাল ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার দিচ্ছেন বাছাই চার সেরা পুজোকে।
সেই তালিকায় লুমিনাস ক্লাবের নাম থাকলেও অরূপ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন তা তাঁরা গ্রহণ করছেন না। তিনি বলেন, “সবিনয়ে আমরা এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ আমরা দেখেছি গত কয়েকদিন ধরে বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা মানুষগুলো পাচ্ছে না। আমরা দেখেছি দিল্লি, কলকাতার রাজভবনে গিয়ে মানুষগুলো টাকার জন্য আন্দোলন করছেন। আমরা ওনার কাছে অনুরোদ করব আমাদের এই টাকা না দিয়ে উনি কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। গরিব মানুষগুলো টাকা পেলেই আমরা মনে করব আমরা পুরস্কার পেলাম।”
এই ঘটনায় কি রাজনীতির রং লাগতে চলেছে, এমন প্রশ্নও উঠছে নানা মহলে। যদিও এই প্রত্যাখ্যান নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “কল্যাণী লুমিনাসকে আমি অভিনন্দন জানাব। তারা রাজ্যের মানুষের কথা ভেবে একটা সদর্থক প্রতিবাদ জানিয়েছে। পুজো উদ্যোক্তাদের এই প্রতিবাদের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই।”
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্যপাল ওখানে যাওয়ার পর ওনাকে রিসিভ করার লোক পর্যন্ত ছিল না। তাতেই ওনার সবটা বোঝা উচিৎ ছিল। তবে শাসকদলের ভয়ে বা শাসকদলের কিছু এজেন্ট এসব করছে। তৃণমূল মানেই অভদ্রতা, অসৌজন্য, অসহিষ্ণুতা।”