Voter Card in Kalyani: ভবঘুরের ঝুলিতে বাহারি ভোটার কার্ড! কল্যাণীতে পড়ল শোরগোল
Kalyani News: শুক্রবার সকালে ওই ভবঘুরেকে সেখানে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় দুই যুবকের। হঠাৎ করেই কোথা থেকে উদয় হলেন তিনি, সেই প্রশ্নই জাগে তাঁদের মনে। এরপরই ওই ভবঘুরে ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে তাঁরা। খুলে দেখে তাঁর ঝুলি। তখনই উদ্ধার হয় একাধিক ভোটার কার্ড। সন্দেহভাজনকে আটকে রাখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।

নদিয়া: ভবঘুরের কাছ থেকে উদ্ধার শতাধিক ভোটার কার্ড। কল্যাণীতে পড়ল শোরগোল। যার না আছে ঘর, না রয়েছে বাড়ি। কিন্তু ঝোলা ভর্তি রয়েছে ভোটার কার্ড। এও সম্ভব? কোথা থেকে এত ভোটার কার্ড পেলেন ওই ব্যক্তি? সবগুলোই আসল নাকি ভুয়ো? সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্য়ে ওই ভবঘুরেকে আটক করা হয়েছে বলেই খবর। পাশাপাশি, জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল।
ঘটনা কল্যাণী জেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝের চর এলাকার। সেখানে এক ভবঘুরে ব্যক্তির ঝুলি থেকে উদ্ধার হয়েছে শতাধিক ভোটার কার্ড। শুক্রবার সকালে ওই ভবঘুরেকে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় দুই যুবকের। হঠাৎ করেই কোথা থেকে উদয় হলেন তিনি, সেই প্রশ্নই জাগে তাঁদের মনে। এরপরই ওই ভবঘুরে ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে তাঁরা। খুলে দেখে তাঁর ঝুলি। তখনই উদ্ধার হয় একাধিক ভোটার কার্ড। এরপর সন্দেহভাজনকে আটকে রাখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
পুলিশ এসে শুরু করে জিজ্ঞাসাবাদ। জানা যায়, ওই ব্যক্তি হুগলি জেলার হিন্দমোটরের বাসিন্দা। নাম উত্তম প্রসাদ। কল্যাণী সীমান্তে তাঁর দিদির বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়ে ঘাস দিয়ে চাপা অবস্থায় ওই ভোটের কার্ডগুলি দেখতে পান তিনি। ঘাস সরিয়ে তা উদ্ধার করে রেখে দেন নিজের কাছেই। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তির থেকে প্রায় শতাধিক ভোটার কার্ড উদ্ধার করা গিয়েছে। যার মধ্যে তিনটি অসমের। বাকিগুলি কল্যাণীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের।
কিন্তু এই কার্ডগুলি কি সত্যিই কুড়িয়ে পাওয়া? নাকি কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন ওই ব্যক্তি? আর যদি তাঁর কথা সত্যি হয়, তা হলে রাস্তার ধারে এত ভোটার কার্ড ফেলে গেল কারা? ভোটের আগে এই সব প্রশ্নই উড়ে বেড়াচ্ছে কল্যাণী জুড়ে। এদিন এলাকার বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, ‘প্রায় ১ হাজার ভোটার কার্ড পাওয়া গিয়েছে শুনলাম। কাদের কাছে ছিল এগুলো? কারা ফেলে গেল? এই কার্ডগুলিই নির্বাচনের সময় ছাপ্পা ভোটে ব্যবহৃত হয়। SIR নিয়ে যখন আবহ চড়ছে, তখন এঁদের টনক নড়েছে। তাই এই ভোটার কার্ডগুলি রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে গিয়েছে।’ অন্যদিকে কল্যাণীর তৃণমূল নেতা বিপ্লব দে সজল বললেন, ‘যে কাউকে জিজ্ঞাসা করুন, আমাদের কোনও কর্মী এসব ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে না। ওরা সিএএ ক্যাম্প নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করে। কল্য়াণীর মতো শান্ত জায়গাকে ওরা অশান্ত করে তুলেছে।’
