Krishnanagar Murder: পিৎজা খেতে বেরিয়েছিলেন হবু বরের সঙ্গে, তারপর ফেরেননি, কৃষ্ণনগরের তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ পরিবারের
Krishnanagar Murder: মৃতার মা জানান, "সাড়ে সাতটা নাগাদ ছেলেটার সঙ্গে পিৎজা খেতে বেরিয়েছিল। বাড়িতে আমায় জানিয়ে গিয়েছিল। তারপর আর ফোন করেনি। আমি ছেলেটাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করি। তখন একবার বলছে ও নাকি ঘুমোচ্ছে। একবার আমায় গালিগালাজ করছে।"
কৃষ্ণনগর: কৃষ্ণনগরে তরুণী খুনের ঘটনায় বড় আপডেট। গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতার প্রেমিককে। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি বিয়েও হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। পুজোর সময় প্রেমিকের সঙ্গে পিৎজা খেতে বেরিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, মেয়ে বেরনোর পর রাত বাড়লেও না ফেরায় চিন্তায় অভিযুক্তকে ফোন করেন তাঁরা। প্রথমে ফোন না ধরলেও পরে ফোন তুলে মৃতার মা-কে গালিগালাজ করেন অভিযুক্ত যুবক। পরিবারের অভিযোগ, প্রেমিক ও তাঁর বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে খুন করেছে তাঁদের মেয়েকে। ইতিমধ্যেই থানায় পৌঁছেছেন মৃতের পরিবার। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরিবারের অভিযোগ, গণধর্ষণ করে খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভিডিয়োগ্রাফি ও ফটোগ্রাফি ও এইমস-এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে ময়নাতদন্তের দাবি পরিবারের।
মৃতার মা জানান, “সাড়ে সাতটা নাগাদ ছেলেটার সঙ্গে পিৎজা খেতে বেরিয়েছিল। বাড়িতে আমায় জানিয়ে গিয়েছিল। তারপর আর ফোন করেনি। আমি ছেলেটাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করি। তখন একবার বলছে ও নাকি ঘুমোচ্ছে। একবার আমায় গালিগালাজ করছে। সারারাত আমার বাবা আমার গোটা পরিবার ওকে খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু মেয়েকে কোথাও পাইনি। আমি জোর করে ছেলেটাকে থানায় নিয়ে এসেছি।” তিনি আরও বলেন, “প্রথমে সম্পর্ক নিয়ে বিবাদ থাকলেও পরে মিটিয়ে নিয়েছিলাম। ওদের রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা ছিল। পুজোর সময় থেকেই মেয়ে বেরচ্ছিল ওই ছেলেটার সঙ্গে।”
তরুণীর এক আত্মীয় বলেন, “আমার মনে হচ্ছে ওকে মেরে দেওয়া হয়েছে। ও সব সময় বলত পুলিশে চাকরি করব। জীবনে মরব না। লড়াই করে বাঁচব। এখন ফোনে মেসেজ আসছে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। আমাদের অনুমান ওর ফোন তো কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। ওকে মারার পর সেই ফোন থেকে কেউ এই সব করছে।”উল্লেখ্য, এ দিন সকালে একটি মহিলা পরিচালিত পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি,গণধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য অ্যাসিড দিয়ে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।