কৃষ্ণগঞ্জ (নদিয়া) : দুই বান্ধবী মিলে বাগানে ছাগল চরাতে গিয়েছিল। পিছু নিয়েছিলেন প্রতিবেশী ব্যক্তি। অভিযোগ, মুখে গামছা বেঁধে দুই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যান। সেখানে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ (Minor physically assaulted) করেন। অপর নাবালিকার শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের। কান্ত হালদার নামে বছর বাহান্নর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।
ঘটনাটি ২৪ এপ্রিলের। নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছ, প্রতিদিন দুই বান্ধবী ছাগল চরাতে যেত। তাদের পিছুপিছু যেতেন কান্ত হালদার। দুই বান্ধবীকে অনেকদিন ধরেই উত্ত্যক্ত করছিলেন। ওইদিনও বছর বারোর ওই দুই নাবালিকার পিছু নেন তিনি। অভিযোগ, দুই নাবালিকার মুখে গামছা বেঁধে বাগানের ভিতরে নিয়ে যান কান্ত। সেখানে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন। অপর নাবালিকার শ্লীলতাহানি করা হয়। ঘটনার কথা কাউকে বললে দু’জনকেই মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি।
ভয়ে বাড়িতে কিছু বলতে পারেনি দুই নাবালিকা। গতকাল মেয়ের আচরণে অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করে চাপ দেন নির্যাতিতা নাবালিকার মা। সেইসময় ধর্ষিতা নাবালিকা মাকে সব বলে। তারপরই তার পরিবার কৃষ্ণগঞ্জ থানায় কান্ত হালদারের নামে অভিযোগ দায়ের করে। রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৩৭৬ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আজ তাঁকে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পেশায় বেসরকারি বাসের কনডাক্টর। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কান্ত হালদার।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ। কিছুদিন আগে নদিয়ারই হাঁসখালিতে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই কিশোরীর মৃত্যর পর তড়িঘড়ি দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।