Nadia Crime: বাড়ির বউকে বারবার ফোন করতেন পাড়ার ছেলে…মাশুল গুনতে হল সেই যুবকের মা আর বৌদিকে
Nadia Crime: অভিযোগ, রবিবার রাতে ৭-৮ জনের একটি দল পিন্টুর বাড়িতে চড়াও হয়। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পিন্টু সেসময় বাড়িতেই ছিলেন। অভিযোগ, প্রথমে পিন্টুকে মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর মা।
নদিয়া: বাড়ির বউকে নাকি ফোনে উত্ত্যক্ত করতেন যুবক। তার জেরে যুবকের বাড়িতে চড়াও হয়েছিল ৭-৮ জনের একটি দল। কথা কাটাকাটি, ঝামেলা, মারপিট- শেষমেশ অভিযুক্ত যুবকের মাকেই পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল। এমনকি মারধরে গুরুতর জখম হয়েছেন অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও। বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার চাপড়ার পুকুরিয়া এলাকায়। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তাঁদেরকে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলা কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঠিক কী ঘটেছিল?
চাপড়ার একই পাড়ার বাসিন্দা ‘নিগৃহীত’ মহিলা ও পিন্টু শেখ নামে ওই অভিযুক্ত যুবক। মহিলার পরিবারের অভিযোগ, পিন্টু ওই মহিলাকে বারবার ফোন করে উত্ত্যক্ত করতেন। এই নিয়ে একাধিকবার পিন্টুকে সচেতন করা হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেননি পিন্টু। বারবার ফোন করেই যেতেন। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বচসাও হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু রবিবার ব্যাপারটা মাত্রা ছাড়ায়।
অভিযোগ, রবিবার রাতে ৭-৮ জনের একটি দল পিন্টুর বাড়িতে চড়াও হয়। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পিন্টু সেসময় বাড়িতেই ছিলেন। অভিযোগ, প্রথমে পিন্টুকে মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর মা। পিন্টুর মাকেও ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় পরিবারের এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকেও। এমনই অভিযোগ পিন্টুর পরিবারের। এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।
এরপর স্থানীয়রা জড়ো হয়ে গেলে পালিয়ে যায় ‘হামলাকারীরা’। স্থানীয়রাই গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁদের মধ্যে পিন্টুর মাকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চাপড়া থানার পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
পিন্টু পরিবারের এক সদস্য বলেন, “ফোন করা নিয়েই ঝামেলা। মেয়ের বাড়ির লোক এসে ঝামেলা করে। আমরা তখন বলেছিলাম, আমরা বুঝিয়ে বলে দিচ্ছি, যাতে ফোন না করে। ওরা ফিরেও গিয়েছিল। তারপর আবার ৮ জন আসে। আমরা সবে নমাজ পড়ে আসি। তখনই ওরা মারধর শুরু করে। আমাদের বউমা প্রেগন্যান্ট ছিল। ওকেও মারধর করা হয়েছে। ছেলেটার মাকেও মেরেছে। হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন মৃত্যু হয়েছে।” পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদেরও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: Minor Physically Harassed: এবার বসিরহাট, নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার নাবালক