Nadia: মেয়ে বারবার ছুটে যায় প্রেমিকের টানে, প্রভাব দেখাতে গিয়ে দাপুটে পঞ্চায়েত সদস্যই পড়লেন বেকায়দায়
Nadia: দীর্ঘদিন ধরে নাবালক-নাবালিকার প্রেম। বারংবার এলাকার তৃণমূল মেম্বারের মেয়ে ওই নাবালকের বাড়িতে চলে যায় ভালোবাসার টানে। অভিযোগ, বারবার নিজের ক্ষমতা বলে পুলিশকে সঙ্গে করে ছেলের পরিবারকে হেনস্থা করে মেয়ের বাবা।

নদিয়া: পঞ্চায়েতের প্রভাবশালী সদস্যের নাবালিকা মেয়ে বার বার চলে যায় তার প্রেমিকের কাছে। নিজের ক্ষমতায় ও পুলিশের সহযোগিতায় মেয়েকে ফেরত নিয়েও যান তিনি। সোমবার আবারও মেয়ে পালিয়ে যায় তার প্রেমিকের বাড়িতে। তাকে ফেরত নিতে আসাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ধুন্ধুমার। পঞ্চায়েত সদস্য তাঁর প্রভাব খাটিয়ে ওই যুবকের বাড়িতে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে সামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুরু হয় পথ অবরোধ। পাল্টা ভাঙচুর করা হয় পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িও । মধ্যরাত পর্যন্ত চলে তাণ্ডব। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা নদিয়ার নবদ্বীপ থানার তিওরখালি এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে নাবালক-নাবালিকার প্রেম। বারংবার এলাকার তৃণমূল মেম্বারের মেয়ে ওই নাবালকের বাড়িতে চলে যায় ভালোবাসার টানে। অভিযোগ, বারবার নিজের ক্ষমতা বলে পুলিশকে সঙ্গে করে ছেলের পরিবারকে হেনস্থা করে মেয়ের বাবা। মঙ্গলবার রাতে ওই ছেলের বাড়িতে ভাঙচুর চালালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনতা। পরবর্তীকালে ওই এলাকার মানুষ অভিযুক্ত সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং পুলিশ গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান।
জানা গিয়েছে, পাশাপাশি ওই এলাকারই এক নাবালক ছেলের সঙ্গে ভবেস শেখের নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বারংবার এই নিয়ে পুলিশে মামলাও হয়। কিন্তু ওই মেয়ে নিজের ইচ্ছায় ছেলের বাড়িতে চলে আসত। আর নিজের ক্ষমতা বলে ছেলেকে এর আগেও জেল খাটিয়েছে অভিযুক্ত ওই পঞ্চায়েত সদস্য। এদিন আবার ওই মেয়েটি ছেলেটির বাড়ি চলে আসার কারণে বাড়ি ভাঙচুর করে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। যার কারণে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এদিন ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। যদিও পরবর্তীকালে বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পাশাপাশি সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিলে অবশেষে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই যুবকের মা বলেন, “আসলে ওরই মেয়ে আমার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। খবর পেয়ে ওর বাবা চলে আসে। তারপর আমার ছেলেকে তিন ঘণ্টা আটকে রেখেছিল। ওর মেয়েই এসে আমাদের খবর দেয়। আমরা বাকি পঞ্চায়েত সদস্যদের খবর দিই। তারপর বলাকওয়া করে আমার ছেলেটাকে ছাড়িয়ে আনা হয়।” যদিও অভিযুক্তের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।





