Nadia Suicide: পড়াশোনার নাম করে বন্ধ করেছিল ঘরের দরজা, পরে উঁকি মারতেই নাবালক যুগলের অবস্থা দেখে কপালে হাত প্রতিবেশীর
Nadia: সত্যপুরের এই নতুন বাড়িতে অয়ন পড়াশোনা করত। আজ দু'জনে পড়াশোনার নাম করে ঘরে ভিতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
নদিয়া: এখনও নাবালক। অষ্টাদশের ঘরে পৌঁছায়নি কেউই। পড়তে গিয়ে কোচিং ক্লাসে দেখা দু’জনের। তারপর বন্ধুত্ব। পরে প্রেম। কিন্তু শেষটা যে এমন ভয়ঙ্কর হবে তা হয়ত কেউ কল্পনা করতে পারেননি!
নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার সত্যপুর এলাকার ঘটনা। প্রতিদিনের মতই পড়তে বেরিয়েছিল সোনাতলা স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী পায়েল ঘোষ ও অয়ন ঘোষ। দু’জনই নবম শ্রেণিতে পড়ে। কিন্তু অনেকক্ষণ হওয়ার পরও তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এরপর সত্যপুর এলাকার নতুন বাড়ির একটি ঘরের ভেতরে দুজনকে একসঙ্গে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় (suicide) দেখতে পায় এলাকার মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সত্যপুরের এই নতুন বাড়িতে অয়ন পড়াশোনা করত। বুধবার দু’জনে পড়াশোনার নাম করে ঘরে ভিতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এলাকার মানুষের সন্দেহ হওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে তাদের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পুলিশ গিয়ে দুজনে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে জানায়। কী কারণে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিল তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে পুলিশের অনুমান প্রেম ঘটিত কারণে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নাকাশীপাড়া থানায় মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর হাসপাতালে পাঠায়।
এক প্রত্যক্ষ্যদর্শী বলেন, “আমাদের গ্রাম সত্যপুরে একটি ছেলে আর একটি মেয়ে ঘরে ঢোকে পড়াশোনার নাম করে। হঠাৎ পাশের বাড়ির একজন দেখে মনে করে রোজই ওরা পড়তে আসে আজকে কী এমন হল যে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিল। সন্দেহর বসে ফাঁক দিয়ে দেখছে দুজন ঝুলছে। তখনই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ফোন করে। এরপর দশ-পনেরো জন গিয়ে আমরা দরজা ভাঙি। দরজা ভেঙে দেখি দুটি বডি ঝুলছে। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার ওদের মৃত বলে ঘোষণা করে।”