Drinking water problem : আর্সেনিকে ভরা নলকূপের জল, বছরের পর বছর এভাবেই জল সংগ্রহ করেন এখানকার বাসিন্দারা
Drinking water problem : সূর্যনগর কলোনি এবং উদয়নগর কলোনির বাসিন্দারা বলছেন, নলকূপের জল আর্সেনিকে ভরা। পান করা তো যায় না। এমনকী, ওই জল দিয়ে রান্নাও সম্ভব নয়।
জলঙ্গী : বৈশাখ মাস। রোদের মধ্যে পদ্মা নদীর বালির চরে কলসি, বালতি নিয়ে দাঁড়িয়ে অনেকে । বালির চরে গর্ত খুঁড়ে জল সংগ্রহ করছেন। কিন্তু, কেন এমন করে জল সংগ্রহ করছেন তাঁরা? এর উত্তরও এল সঙ্গে সঙ্গে। গ্রামের নলকূপের জল আর্সেনিকে ভরা। সেই জল পান করা যায় না। এমনকী, রান্নাও করা যায় না। তাই, পদ্মা নদীর চরে বালি খুঁড়ে এভাবে জল সংগ্রহ করেন। এই জলে রান্না ভাল হয়। এমনকী, গ্রামের অনেকে এই জল পান করে। এভাবেই জলের সমস্যা মেটান মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী বিধানসভার সাগরপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্তবর্তী সূর্যনগর কলোনি এবং উদয়নগর কলোনির বাসিন্দারা।
পদ্মার চর থেকে কীভাবে জল সংগ্রহ করেন?
বাসিন্দারা বলছেন, নদী যেখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে, তার একটু দূরে বালি খুঁড়ে গর্ত করা হয়। ওই গর্তে জল ভরে যায়। সেই জল খুব সাবধানে কলসি, বালতিতে ভরেন তাঁরা। সকাল ও সন্ধেয় জল ভরতে লাইন পড়ে। এমনকী, অনেকে দুপুরে জল নিতে আসেন। গ্রামের মহিলারাই প্রধানত জলের জন্য আসেন। তাঁরা বলছেন, কখনও কখনও জল নিতে ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এক কিলোমিটার, দুই কিলোমিটার দূর থেকে জল আনতে আসেন অনেকে।
কেন এই জল সংগ্রহ করেন?
সূর্যনগর কলোনি এবং উদয়নগর কলোনির বাসিন্দারা বলছেন, নলকূপের জল আর্সেনিকে ভরা। পান করা তো যায় না। এমনকী, ওই জল দিয়ে রান্নাও সম্ভব নয়। সেখানে নদী থেকে সংগ্রহ করা জলে রান্না ভাল হয়। খাওয়ার জন্য বাইরে থেকে জল কেনেন অনেকে। তবে যাঁদের সামর্থ্য নেই, তাঁরা ওই জলই পান করেন।
সাগরপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আমজাদ আলি খান অবশ্য বলছেন, “পানীয় জলের তেমন কোনও সমস্যা নেই। টিউবওয়েল আছে। স্থানীয় প্রশাসন পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই বিশুদ্ধ পানীয় জল পাবেন বাসিন্দারা।” বাসিন্দাদের নদীর বালি খুঁড়ে গর্ত করে জল নেওয়ার যে ছবি ধরা পড়েছে, তা নিয়ে তিনি বলেন, “মাসতিনেকের জন্য পদ্মার জল কমে। তখন এভাবে জল সংগ্রহ করেন ওখানকার বাসিন্দারা। কারণ, ওই জলে রান্না ভাল হয় বলে তাঁরা মনে করেন। কিন্তু, এর জন্য পানীয় জলের সমস্যার কথা বলা ঠিক নয়। কারণ, মাসতিনেক পরই নদীর জল বেড়ে যাবে। তখন ওখান থেকে এভাবে জল আনতে পারা যায় না।”
আরও পড়ুন : Lottery : ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন নয়, রাতারাতি কোটিপতি মালদার ভাগচাষি