নদিয়া: বাড়ির বৌ বিজেপি করেন। শুধু তাই নয়, তাঁর পরিবারও বিজেপি সমর্থক। অভিযোগ, সেই কারণে তাঁকে শারীরিক নির্যাতনের করে বের করে দিল তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যানের পরিবার। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে আইন আইনের পথেই চলবে।
নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ দাস এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, দিলীপ বাবুর ভাইয়ে ছেলের বৌ-এর পরিবারের সদস্যরা বিজেপি করেন। সেই ‘অপরাধে’ গৃহবধূকে নির্যাতন করে বের দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁদের। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। জানা গিয়েছে, প্রায় চার বছর আগে কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোমা হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় ছয় নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা ভাইস-চেয়ারম্যান দিলীপ দাসের ভাইপো চিরঞ্জিত দাসের। বিয়ের পর সুখেই দিন কাটছিল ওই গৃহবধূর। তারপরই বাধল বিপত্তি।
কিছুদিন পর ওই গৃহবধূর দাদা বিজেপিতে যোগদান করেন। এর পরেই রাজনৈতিক হিংসার কারণে আক্রোশ বেড়ে যায়। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, তখন থেকেই শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা । কয়েক মাস আগে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় ওই গৃহবধূকে। এরপর সোমার পরিবারের তরফ থেকে রানাঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জামিনে মুক্তি পায় অভিযুক্তরা। এখানেই শেষ নয়, এরপরও একাধিকবার হুমকি দেওয়া হয় ওই পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার।
শুধু তাই নয়, সোমার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে বেধড়ক মারতে থাকেন আগ্নেয়াস্ত্র এবং লোহার রড দিয়ে। পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন যুবতী এবং তাঁর পরিবার। ইতিমধ্যে চিরঞ্জিত দাসের পরিবারের তরফ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে গৃহবধু এবং তাঁর পরিবার। যদিও, এই ঘটনার কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ দাস। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় আইন আইনের পথে চলবে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।
এই বিষয়ে সোমার বাবা জানান, “আমার মেয়েকে বিয়ে দিই কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের ভাইয়ের ছেলের সঙ্গে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অশান্তি শুরু হয়। আমরা মেয়েকে দেখতে গেলেই আমাদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দিত। এরপর আমাদের পরিবার বিজেপিতে যোগদান করার পরই বাধে অশান্তি। বেধড়ক মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছে।”
আরও পড়ুন: Bakura Municipal Election: জিতেও পাত্তা না দেওয়ার অভিযোগ, পুরসভায় বঞ্চিত বিরোধী ও নির্দল কাউন্সিলরা
আরও পড়ুন: Rampurhat Crime: তৃণমূলের উপপ্রধান ‘খুন’, বগটুই গ্রাম থেকে উদ্ধার ১০ অগ্নিদগ্ধ দেহ