Dhantala Woman Harassment Case: ‘কমপ্লেন্ট চেঞ্জ করতেই হবে’, ধানতলা-কাণ্ডে ভাইরাল অডিয়ো, ওসি-কে চাপ দিতে চায় কারা?

Dhantala Woman Harassment Case: কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে অভিযোগ। কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

| Edited By: | Updated on: Apr 17, 2022 | 10:09 PM

ধানতলা : রাজ্যে পরপর নারী নির্যাতন ও হেনস্থার অভিযোগ। নদিয়ার হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে যখন উত্তার রাজ্য, তখন সেই জেলাতেই ফের উঠল ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ। এবার নদিয়ার ধানতলা। এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তারপরই তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ তোলে পরিবার। আর সেই ঘটনায় এবার ভাইরাল হল একটি অডিয়ো ক্লিপ। সেখানে শোনা যাচ্ছে, একজন আর একজনকে বলছেন, ‘কমপ্লেন্ট চেঞ্জ করার জন্য চাপ দিতে হবে।’ অভিযোগ পরিবর্তন করার কথা কারা বলছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওসি-র ওপর চাপ তৈরি করার কথাও বলা হচ্ছে সেই অডিয়ো ক্লিপে। তৃণমূলের দাবি আসলে এর পিছনে রয়েছে বিজেপির ষড়যন্ত্র। তবে ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

কী আছে সেই অডিয়ো ক্লিপে?

কন্ঠ ১- কাল বডি পোস্টমর্টেম হবে। আসতে দেরি হবে।

কন্ঠ ২- হ্যাঁ বডি পাঠানো হয়েছে। এখানে সব লোকজন আছে। আইসি-কে ফোন করা হয়েছে।

কন্ঠ ১ – যে করে হোক এটাকে তৃণমূল ইস্যু বানাতে হবে। ওই ওসি-র ওপর চাপ তৈরি করতে হবে।

কন্ঠ ২ – ধানতলা থানায় যা হচ্ছে, কমপ্লেন্ট কপিটাকে ট্রেস করতে হবে।

কন্ঠ ১ – কমপ্লেন্ট চেঞ্জ করতেই হবে।

কন্ঠ ১ – হ্যাঁ আমরা গাড়ি করে লোক নিয়ে যাচ্ছি।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলে যায় অভিযোগ

ধানতলায় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে এক কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযো ওঠে। গত শুক্রবার অভিযোগও দায়ের হয় থানায়। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নতুন অভিযোগ। আবারও অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। আর সেখানে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চড়ক উপলক্ষে পিসতুতো দিদির বাড়িতে গিয়েছিলেন নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। আর সেখানেই বন্ধ ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

ঠিক কী অভিযোগ?

জামাইবাবুর বাড়ি থেকে কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। নদিয়ার গাংনাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। চড়ক পুজোর মেলা উপলক্ষে ধানতলা এলাকায় পিসতুতো জামাইবাবুর বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল সে। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা দেখতে পায় জামাই বাবুর পরিবার। এরপর তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর উপস্থিতিতে থানায় আবার অভিযোগ দায়ের করা হয় যে, তাকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয়।

নাবালিকার মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর মৃতদেহ ঘিরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলে গাংনাপুর থানার অন্তর্গত ঘোলা এলাকায়।রাতে ঘটনাস্থলে যায় গাংনাপুর থানার পুলিশ। গাংনাপুর থানার পুলিশকে ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ করেন। এই ঘটনা নিয়ে মুকুটমনি অধিকারী রাজ্যের শাসক দল ও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। তিনি জানান, প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। হাঁসখালির ঘটনার পর এই ঘটনার জন্যও সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবেন তাঁরা।

আরও পড়ুন : Anupam Hazra on BJP leader Resignation: পর পর পদত্যাগ, বিজেপির সৌমিত্র খাঁয়ের পর এবার বিস্ফোরক অনুপম হাজরা

Follow Us: