Nadia: মদের আসরে লুটিয়ে পড়লেন যুবক, পুলিশের জালে ৩ বন্ধু
Nadia Youth death: চন্দন বিশ্বাস নামে ধৃত এক যুবক বলেন, "গতকাল প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করে সৌমেন আমাদের কাছে আসে। তখন দেখি ওর চোখ লাল। আমাদের বলে, চল মদ খাব। আমরা বলি, আমাদের কাছে পয়সা নেই। তখন বলে, আমি খাওয়াব। মদ খাওয়ার পর ও মাথা নিচু করে বসেছিল। তখন আমাদের একজন ওকে বলে, একটু শুয়ে পড়। তখন শুয়ে পড়ে। পরে অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া দেয়নি।"

নদিয়া: মদের আসরে যুবকের রহস্যমৃত্যু। মৃত যুবকের নাম সৌমেন বিশ্বাস। এই ঘটনায় মৃতের ৩ বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি নদিয়ার হাঁসখালির বগুলা এলাকার। ধৃতদের রবিবার রাণাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাঁদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে হাঁসখালি থানার বগুলার বাসিন্দা এক যুবকের বাড়ির ছাদে মদের আসর বসান ৪ বন্ধু। সৌমেনের বন্ধুদের বক্তব্য, সেই আসরেই হঠাৎ সৌমেন অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তাঁকে বগুলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাঁসখালি থানার পুলিশ মদের আসরে থাকা সৌমেনের তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করে। এদিন ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে রাণাঘাট আদালতে তোলে পুলিশ।
চন্দন বিশ্বাস নামে ধৃত এক যুবক বলেন, “গতকাল প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করে সৌমেন আমাদের কাছে আসে। তখন দেখি ওর চোখ লাল। আমাদের বলে, চল মদ খাব। আমরা বলি, আমাদের কাছে পয়সা নেই। তখন বলে, আমি খাওয়াব। মদ খাওয়ার পর ও মাথা নিচু করে বসেছিল। তখন আমাদের একজন ওকে বলে, একটু শুয়ে পড়। তখন শুয়ে পড়ে। পরে অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া দেয়নি। আমরা লোকজনকে ডেকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
যদিও মদের আসরে যুবকের আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ছে রহস্য। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে কি না, তা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা হচ্ছে। অন্যদিকে, মৃত যুবকের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়ে। তারাও চাইছে তাদের সন্তানের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে আসুক।
