
স্বরূপনগর: নাম সুভাষচন্দ্র মণ্ডল। বিজেপির পঞ্চায়েত মেম্বার। আর পরিচয় নিয়েই এখন জোর শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। তিনি নাকি দুই দেশের ভোটার। তাঁর যেমন ভারতের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে তেমনই আবার বাংলাদেশের ভোটার লিস্টেও নাম রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই চাপানউতোর স্বরূপনগরের বিথারী হাকিমপুরের ১০০ নম্বর বুথে। সূত্রের খবর, এই বুথের ভোটার লিস্টে সুভাষবাবুর সিরিয়াল নম্বর ৫০২। বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় কলারোয়ার রুদ্রুপুরে ভোটার লিস্টে সিরিয়াল নম্বর ৩৬১। এ দেশের পঞ্চায়েত মেম্বারের কী করে দুই দেশের ভোটার লিস্টে নাম থাকে সেই প্রশ্ন তুলে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তীব্র চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে।
স্বরূপনগর উত্তর ব্লক তৃণমূল সভাপতি জিয়াউর রহমান পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলছেন, “বিজেপির যে নেতারা রয়েছে তাঁরা অনেক গলা চড়াচ্ছেন। কিন্তু আমরা বারবার বলেছি অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে বিএসএফ। এদিকে এরা আবার স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে রয়েছে। তাই জবাবদিহি করতে হবে অমিত শাহকে। ওই সুভাষ মণ্ডল তো ২০১০-১১ সাল নাগাদ অবৈধভাবে এ দেশে আসেন। এখানে বিজেপি নেতাদের সাহায্য়ে ভোটার লিস্টে নাম তুলেছিলেন। তারপর বিজেপি নেতাও হয়ে ওঠেন।” তাঁরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য কমিশনেরও দ্বারস্থ হতে চলেছেন বলে জানাচ্ছেন। যদিও বিতর্কের মুখে স্বরূপনগরের বিজেপি নেতা বৃন্দাবন সরকার বলছেন, “ভোটার লিস্টে ওনার নাম আছে। উনি বৈধ ভোটার। আমরা এ নিয়ে চিন্তিত নই। আমরা ওনাকে দিয়ে সিএএ-তে আবেদন করাব। উনি নাগরিকত্ব পাবেন।”
এদিকে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই সুভাষ মণ্ডলও মুখ খুলেছেন। তিনি বলছেন বহু বছর আগে তিনি বাংলাদেশ থেকে এ দেশে চলে এসেছেন। কিন্তু তিনি জানেন না কী করে এখনও বাংলাদেশের ভোটার লিস্টে তাঁর নাম রয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, “আমি প্রায় ক্লাস সেভেন এইট থেকেই এখানে পড়াশোনা করছি। আমার মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের সব সার্টিফিকেটও এখানের। ২০০১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়েছিল।”
১০০ নম্বর বুথের বিএলও সুমন মণ্ডল বলছেন, “আগে আমি এ কথা জানতাম না। এখন শুনছি। আমি যদিও কোনও পদক্ষেপ করতে পারব না। আমার কাছে উনি কোনও তথ্য় জমাও দেননি। আমার ফর্ম দেওয়ার কাজ আমি বিলি করেছি।”