AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হালিশহরের বিজেপি কর্মী খুনে শাসকদলের দুই মন্ত্রী খাড়া করলেন দুই তত্ত্ব!

তবে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে একাধিক তত্ত্ব তুলে ধরা হচ্ছে।

হালিশহরের বিজেপি কর্মী খুনে শাসকদলের দুই মন্ত্রী খাড়া করলেন দুই তত্ত্ব!
হালিশহরের বিজেপি কর্মী খুনে শাসকদলের দুই মন্ত্রী খাঁড়া করলেন দুই তত্ত্ব!
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2020 | 2:03 PM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই খুন হতে হয়েছে হালিশহরের (Halisahar) বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়ালকে । এবার এমনই দাবি করলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ঘটনার নজর ঘোরাতেই তৃণমূলের দিকে বিজেপি আঙুল তুলেছে বলে অভিযোগ তাঁর। তাঁর বক্তব্য, “হালিশহরের খুন আদি বিজেপির সঙ্গে নব্য বিজেপির লড়াইয়ের জের।” যদিও ধৃত ৩ জনও তৃণমূল কর্মী বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

রবিবার হাবড়া বিধানসভার কুমড়া পঞ্চায়েতে ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘বঙ্গ ধ্বনি’ অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। সেখানেই হালিশহরের ঘটনা প্রসঙ্গে এই কথা বলেন তিনি। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে একাধিক তত্ত্ব তুলে ধরা হচ্ছে। সকালেই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যতদূর শুনেছি এটা অরাজনৈতিক ব্যাপার। অন্য কোনও কারণে গণ্ডগোলের জেরে হয়েছে। পুলিস তদন্ত করে দেখছে।” আবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই ঘটনাকে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের জের বলেই উল্লেখ করছেন।

ঘটনার এখনও ১২ ঘণ্টাও কাটেনি। এরই মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বিজেপি কর্মীর পরিবারের তরফে করা এফআইআর-এ ওই তিন জনের নাম ছিল। তিনজনেরই তৃণমূলের সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। শনিবার রাত থেকে থমথমে হালিশহর। রবিবার সকাল থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। বীজপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তি হয় পুলিসের সঙ্গেও। মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে এদিন থানার পাঁচিলে উঠে বিক্ষোভরত কর্মী সমর্থকদের সামলানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: শুভেন্দুর সঙ্গে আমাকে গুলিয়ে ফেলবেন না, পার্থর বাড়িতে দাঁড়িয়ে বলে গেলেন রাজীব

উল্লেখ্য, শনিবার বিজেপির গৃহ সম্পর্ক অভিযানে বেরিয়ে খুন হন বিজেপির বুথ সভাপতি সৈকত। প্রকাশ্যেই তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।