
নামখানা: ফের নতুন করে তপ্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে ফের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা মাথাচাড়া দিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। নতুন করে নজরদারিতে জোর দিয়েছে বিএসএফ। নজরদারি চালাচ্ছে উপকূল রক্ষী বাহিনীও। এদিকে সামনে আবার গঙ্গাসাগর মেলা। সে কথা মাথায় নিরাপত্তায় জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকারও। কয়েকদিন আগে নবান্নে গঙ্গাসাগর নিয়ে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবারের মেলায় সবমিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুন্দরবন জেলা পুলিশ।
সূত্রের খবর, নতুন বছরের প্রথমেই অর্থাৎ জানুয়ারি পড়তেই গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আসার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফলে প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে। জলপথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এদিন বিকেলে নামখানা স্টেশন, হতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর ঘাট এবং আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করতে দেখা যায় সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি কটেশ্বর রাওকে। তাঁর সঙ্গে দেখা যায় সাগরের এসডিপিও সুমন কান্তি ঘোষ, নামখানা থানার ওসি বিভাস সরকার-সহ জেলার পুলিশ আধিকারিকদের।
পুলিশ-প্রশসানের তরফে জানা যাচ্ছে নদী পথে স্পিডবোট এবং লঞ্চে টহল চলছেই। সঙ্গে সিসিটিভি, ড্রোন তো থাকছেই। আলাদা করে রাজ্য প্রশাসনের তরফে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে উপকূল রক্ষী বাহিনী, বিএসএফের সঙ্গে। যে সময় মেলা চলবে সেই সময় উপকূল রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে ছোট জাহাজের পাশাপাশি হোভারক্রাফ্টে নজরদারি চলবে। গঙ্গাসাগরের উপর হেলিকপ্টার, এয়ারক্রাফ্ট এবং ড্রোনিয়ারের মাধ্যমে নজরদারি চলবে বলে জানা যাচ্ছে। সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার উপরে। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের প্রতি ঘাটে পুলিশের পক্ষ থেকে পুরোদমে নাকা চেকিং চলছে।