AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কটা আসন পাবেন একুশের বিধানসভায়? জানিয়ে দিলেন আব্বাস সিদ্দিকি

আব্বাস সিদ্দিকির দাবি, এ রাজ্যে তাঁদের অনুগামী প্রায় আড়াই কোটির মতো। তার ৭০ শতাংশ মানুষ সিদ্দিকির রাজনীতিতে প্রবেশ সমর্থন করেছেন।

কটা আসন পাবেন একুশের বিধানসভায়? জানিয়ে দিলেন আব্বাস সিদ্দিকি
ফাইল চিত্র
| Updated on: Jan 15, 2021 | 11:28 AM
Share

গুমা: পশ্চিমবঙ্গে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদার প্রভাব কতটা, বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার গুমাতে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন আব্বাস সিদ্দিকি। বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় আর কয়েক দিনের মধ্যে অভিষেক হতে চলেছে তাঁর দলের। কিন্তু একুশের নির্বাচনে আদৌ কোনও দাগ কাটতে পারবেন তাঁরা? এ প্রসঙ্গে আব্বাস বলেন, “কমপক্ষে ৫০ আসনে জেতার মতো জায়গায় দাড়িয়ে আমরা।”

আব্বাস যে মমতা-বিরোধী মুখ, বিভিন্ন সময়ে তাঁর নিজের মন্তব্যে স্পষ্ট করেছেন। কিন্তু নির্বাচনে জোটে গেলে কার হাত ধরবেন, এখনও স্পষ্ট নয়। কয়েকদিন আগে ফুরফুরা শরিফে মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি সাক্ষাৎ করেন আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে। ওয়েইসি জানান, তাঁর দল সিদ্দিকিকে সামনে রেখে লড়বে। যদিও এ বিষয়ে সিদ্দিকি তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেননি। তবে, পরবর্তী সময়ে মিমের বিরোধিতা করতেই দেখা গিয়েছে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদাকে।

এ দিন আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, “দিদিমণির সবচেয়ে আপনজন হল মিম। নন্দীগ্রাম পর্ব থেকেই একসঙ্গে তাঁরা। মিমের নেতা আমার বাড়িতে এসেছিলেন, তিনি তাঁর রায় দিয়েছেন, তবে আমার ফয়সলা সময় মতো শোনাব।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূলের যোগসাজশ তুলে মিমের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছেন সিদ্দিকি। অন্যদিকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মিমের সঙ্গ ছাড়লেই, তবেই জোট নিয়ে ভাবনা চিন্তা হতে পারে। সিদ্দিকির সঙ্গে জোট নিয়ে বৈঠকও করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

আরও পড়ুন- ভোটের আগেই রাজ্য পুলিসের অন্দরে ব্যাপক পরিবর্তন, একসঙ্গে ৭০ ইন্সপেক্টরের বদলি

আব্বাস সিদ্দিকির দাবি, এ রাজ্যে তাঁদের অনুগামী প্রায় আড়াই কোটির মতো। তার ৭০ শতাংশ মানুষ সিদ্দিকির রাজনীতিতে প্রবেশ সমর্থন করেছেন। আর এখানেই ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। সিদ্দিকির আরও অভিযোগ, এ রাজ্যে বিজেপিকে আনার পথ প্রশস্ত করেছে তৃণমূলই। তিনি বাধা হয়ে দাঁড়ানোয়, বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির সৃষ্টি করছে তারা। তবে, সিদ্দিকির এই আড়াই কোটি অনুগামী নিয়ে তৃণমূল চিন্তিত নয় বলে সূত্রের খবর। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদাদের মধ্যে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। আব্বাসের প্রতিদ্বন্দ্বী তহা সিদ্দিকি আবার তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। ফলে, সিদ্দিকির ভোট যে ভাগাভাগি হবে না, এমন হলফ করে বলতে পারছে না রাজনৈতিক মহল।