ভোটের আগেই রাজ্য পুলিসের অন্দরে ব্যাপক পরিবর্তন, একসঙ্গে ৭০ ইন্সপেক্টরের বদলি
ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের ধমকের পর রাত গড়ানোর আগেই বদলি করা হল ৭০ জন পুলিস আধিকারিককে।
কলকাতা: আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly Election)। তার আগেই রাজ্য পুলিসে ব্যাপক রদবদল হল। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে মোট ৭০ জন ইন্সপেক্টরকে বদলি করা হল। আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই রদবদল হয়েছে বলে মনে করছেন পুলিসকর্তারা।
নির্বাচনের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুদিনের রাজ্য সফরে এসেছিলেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন (Sudip Jain)। পুলিসকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি সন্তুষ্ট হননি বলেই জানা গিয়েছে। আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট দেখে সেটিকে পক্ষপাতদুষ্ট বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের ধমকের পর রাত গড়ানোর আগেই বদলি করা হল ৭০ জন পুলিস আধিকারিককে।
এর আগে পূর্ব মেদিনীপূর ও ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপারকেও বদলি করা হয় নবান্ন (Nabanna)-এর তরফে। ডিসেম্বর মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিস সুপার সুনীল কুমার যাদবকে বদলি করে র্যাফের কমান্ডান্ট হিসাবে শিলিগুড়ির দেবগ্রামে পাঠানো হয়। ডায়মন্ড হারবারের পুলিস সুপার ভোলানাথ পাণ্ডেকেও একইভাবে বদলি করা হয়।
আরও পড়ুন: দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন মুকুল-দিলীপ! শুক্রবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ‘হাই ভোল্টেজ’ মিটিং
নতুন বছরে বদলির তালিকায় যুক্ত হন ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিস সুপার। সেই জেলার পুলিস সুপার অমিত কুমার ভারতকে বদলি করে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিস বাহিনীর অষ্টম ব্যাটালিয়নে কমান্ডন্ট পদে বসানো হয়। ঝাড়গ্রামের দায়িত্ব নেন বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি ট্রাফক পদে নিযুক্ত ইন্দিরা মুখ্যোপাধ্যায়। সেই পদে বসেন আইপিএস সৈকত ঘোষ।
এরপর আজ মোট ৭০ জন পুলিস ইন্সপেক্টরকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে অনেকেই তিনবছরেরও বেশি সময় ধরে একই রাজ্যে নিযুক্ত ছিলেন। তবে নির্বাচনের আগে রাজ্য পুলিসের এই খোলনচে বদলে ফেলা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকেই আপাতত পাখির চোখ করে এগোচ্ছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একচুল জমি ছাড়তে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগেই যে টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তা নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই আরও বাড়তে চলেছে। এদিকে, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করানোর লক্ষ্য নির্বাচন কমিশনের। সবমিলিয়ে একের পর এক বদলি নির্বাচনের জন্য রাজ্যের প্রস্তুতিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফের অগ্নিকাণ্ড, একাধিক ঝুপড়ি পুড়ে ছাই নিউটাউনে, ‘ফিশি ব্যাপার’ কটাক্ষ বিজেপির