AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gaighata: ‘ছেলেধরা গুজব’ এবার গাইঘাটায়! স্রেফ সন্দেহের বশেই উত্তম-মধ্যম গণধোলাই

Gaighata: গাইঘাটা থানা এলাকার বেড়িগোপালপুর বাজার চত্বরে এক যুবককে 'ছেলেধরা' সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় ওই যুবককে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় একটি ঘরের মধ্যে। পরে গাইঘাটা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং ওই যুবককে উদ্ধার করে।

Gaighata: 'ছেলেধরা গুজব' এবার গাইঘাটায়! স্রেফ সন্দেহের বশেই উত্তম-মধ্যম গণধোলাই
গাইঘাটায় গণপিটুনির অভিযোগImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2024 | 5:19 PM
Share

গাইঘাটা: ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে ফের গণপিটুনির অভিযোগ। এবারও সেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলাই। তালিকায় নতুন সংযোজন এবার গাইঘাটা। রবিবার সকালে গাইঘাটা থানা এলাকার বেড়িগোপালপুর বাজার চত্বরে এক যুবককে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় ওই যুবককে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় একটি ঘরের মধ্যে। পরে গাইঘাটা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং ওই যুবককে উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে ওই যুবক কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যুবক গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। এরপর আজ সকালে বেড়িগোপালপুর বাজার এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে ওই যুবক। পরিবারের সদস্যদের দাবি, বাড়িতে ঢোকার সময় তাঁদের মেয়েকে ইশারায় ডাকছিল ওই যুবক। সেই সময় ওই যুবকের চোখের দিকে তাকাতেই তাঁদের মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে বলে দাবি পরিবারের লোকজনের। এরপরই ওই যুবককে ধরে এলাকার লোকজন ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গণধোলাই দেয় বলে অভিযোগ।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে স্রেফ ‘ছেলেধরা’ সন্দেহের বশে গণধোলাইয়ের অভিযোগ উঠে এসেছে। শুরু হয়েছিল বারাসত থেকে। তারপর একে একে অশোকনগর, খড়দহ, বনগাঁয় একই ধরনের ঘটনা দেখা গিয়েছে। রবিবার সকালেই বনগাঁর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এক ভবঘুরেকে ছেলেধরা সন্দেহে উত্তম-মধ্যম প্রহার করা হয়। তারপর বেলা গড়াতে না গড়াতেই এবার গাইঘাটায় ধরা পড়ল সেই একই ছবি।

বারাসতের ওই ঘটনার পর পুলিশের তরফে বার বার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সাবধান করে দেওয়া হয়েছে, কেউ যেন অহেতুক ‘ছেলেধরা’ গুজব না ছড়ায়। যারা এই ধরনের গুজব ছড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও বারাসতের ঘটনার পর হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পুলিশ।