Illegal Business of Gas Cylinder: গ্যাস রিফিল করার আড়ালেই চলছিল সিলিন্ডার বিক্রির অবৈধ কারবার, টেরই পাননি আশপাশের দোকানিরা
Barasat: দুটি দোকানে তল্লাশি চালিয়ে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২৫-৩০ টি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করেছেন।
বারাসত : বড় সাফল্য উত্তর ২৪ পরগনা জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (District Enforcement Branch)। বারাসতের নবপল্লী এলাকা থেকে অনেকদিন ধরেই অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির (Gas Cylinder Selling) খবর আসছিল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের কাছে। সেই মতো মঙ্গলবার নবপল্লীর ছোটবাজার এলাকায় হানা দেন এনফোর্সমেন্ট আধিকারিকরা। সেখানে দুটি দোকানে গ্যাস ওভেন বিক্রির পাশাপাশি চলছিল এই অবৈধ কারবার। ছোট-ছোট গ্যাস সিলিন্ডার রিফিলিং করা হচ্ছিল। ওই দুটি দোকানে তল্লাশি চালিয়ে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২৫-৩০ টি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করেছেন। ওই গ্যাস সিলিন্ডারগুলি অবৈধভাবে বিক্রি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। উদ্ধার হওয়া সিলিন্ডারগুলি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বহুদিন ধরেই এই অবৈধ কারবার চলছিল। গোপন সূত্র মারফত খবরও পাচ্ছিলেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসাররা। সেই মতো মঙ্গলবার বারাসত থানার পুলিশকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নবপল্লী এলাকায় যৌথ অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। আর তাতেই বেরিয়ে আসে গ্যাস ওভেন বিক্রির আড়ালে এই অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির কারবার। তাৎপর্যপূর্ণভাবে যে দুটি দোকান থেকে ওই সিলিন্ডারগুলি উদ্ধারল করা হয়েছে, সেগুলির মালিক একজনই। পুলিশ সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দোকানের মালিক এবং একজন কর্মীকে আটক করেছে বারাসত থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় এমন ঘটনা আগে কখনও দেখা যায়নি। যে দুটি দোকান থেকে ওই সিলিন্ডারগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলিতে গ্যাস রিফিলিং হত বলে জানতেন তাঁরা। কিন্তু এর আড়ালে যে গ্যাস সিলিন্ডার অবৈধভাবে বিক্রি করা হচ্ছিল, সেই বিষয়টি তাঁরা টেরই পাননি। আশপাশের দোকানিদের বক্তব্য, পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করলেই বোঝা যাবে কীভাবে এই কাণ্ড চলছিল। এদিকে মঙ্গলবার দুপুরের ওই ঘটনায় এলাকায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যে গ্যাস সিলিন্ডারগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলির গায়ে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার ছাপও রয়েছে। ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।