উত্তর ২৪ পরগনা: বারাসত শহরের একমাত্র কংগ্রেস কাউন্সিলর দীপক দাশগুপ্ত। বরাবরই তিনি ডানপন্থী মানুষ। এবার তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তিনি। দীপক দাশগুপ্তের দাবি, আগামী ২১ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন তিনি। এদিকে দীপক দাশগুপ্তের তৃণমূল-যোগের সম্ভাবনার খবর সামনে আসতেই পোস্টার পড়েছে এলাকায়। যেখানে স্পষ্ট বার্তা রয়েছে, ‘জননেত্রীর অপমানকারীকে দলে মানব না। সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিকবর্গ’।
দীপক দাশগুপ্ত জানান, রাজ্যে কংগ্রেসের আর কোনও অস্তিত্বই নেই। তাই তিনি পুরনো দল ছেড়ে দিয়েছেন। দীপকের কথায়, “মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আসল কংগ্রেস মনে করে। উনি সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একমাত্র মুখ। তাই আমি বাংলার মানুষের রায়কে মাথা পেতে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ে শামিল হতে চাই। তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে আমি আবেদন জানিয়েছিলাম। তা গ্রাহ্য হয়েছে। আমাকে ২১ তারিখ সময় দেওয়া হয়েছে বিদ্যাসাগর হলে। সেখানেই আমি আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেব।” ১৯৯৩ সাল থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে বারাসতের পরিচিত মুখ দীপক দাশগুপ্ত।
এদিকে দীপক দাশগুপ্তের তৃণমূল যোগের খবর চাউড় হতেই এলাকায় পোস্টার পড়ে। কংগ্রেসে থাকাকালীন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যঙ্গ করে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেই পোস্টের স্ক্রিন শটের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানো হয়। এ প্রসঙ্গে অবশ্য দীপক দাশগুপ্তের দাবি, তৃণমূলের কেউ এমন কাজ করতেই পারেন না। এ কাজ অন্য কারও। তিনি এসবে খুব একটা আমলও দিতে নারাজ।
দীপক দাশগুপ্তের তৃণমূলে যোগদানের বিষয়ে বারাসতের পুরস প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের বারাসত পুরসভায় কংগ্রেসের একমাত্র কাউন্সিলর উনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজকর্মে আকৃষ্ট হয়ে ও আমাদের জেলা সভাপতির কাছে আবেদন করেন। জানান, ‘আগে যা করেছি ভুল করেছি। আমি তৃণমূলে যোগ দিতে চাই’। সেইমতো জেলা সভাপতি আমাদের বলেন ২১ তারিখ তৃণমূলে নিয়ে নিতে।” আরও পড়ুন: কবে নিলেন দ্বিতীয় ডোজ়? ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ প্রৌঢ়ের