বসিরহাট: প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা। ব্যস্ত সময়ে থিক থিকে ভিড়। শিয়ালদা হাসনাবাদ আপ লোকাল ট্রেন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। প্ল্যাটফর্মে ঢুকছে ট্রেন। যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বছর পঁয়ত্রিশের ছেলেটা তখনও পিছনের সারিতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। ট্রেনটা যে মুহূর্তে এগিয়ে আসে, ওমনি পিছন থেকে যাত্রীদের ঠেলে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন তিনি। দুটো টুকরো হয়ে যায় দেহ। শরীরের সামনের অংশ আটকে যায় ট্রেনের চাকার সঙ্গে। ওই অবস্থাতেই চলতে থাকে ট্রেন। শিয়ালদা-হাসনাবাদ শাখার মালতিপুর স্টেশনে মর্মান্তিক ঘটনা। মৃত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বছর ৩৫ এর যুবক মালতিপুর স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শিয়ালদহ-হাসনাবাদ আপ লোকাল মালতিপুর স্টেশনে ঢুকছিল। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের মধ্যেই মিশে ছিলেন ওই যুবক। আচমকাই ওই যুবক সবাইকে ঠেলে ট্রেনের সামনে ঠেলে দেন। ঘটনার আকস্মিকতায় স্তম্ভিত হয়ে যান প্রত্যক্ষদর্শীরা। ততক্ষণে ট্রেনের চাকায় আটকে গিয়েছে যুবকের শরীর। দুটুকরো হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু ওই অবস্থাতেই ট্রেনটা চলতে থাকে হাড়োয়া স্টেশন পর্যন্ত। ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে হকচকিয়ে যান ট্রেনের যাত্রীরা। হাড়োয়া স্টেশনে গিয়ে ট্রেনটা দাঁড়ায়। ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়ে পড়ে শিয়ালদহ-হাসনাবাদ বিভাগের আপ ও ডাউন লাইনে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে ওই লাইনে। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলপুলিশের আধিকারিকরা। ট্রেনের চাকায় জড়ানো যুবকের দেহাংশ ছাড়ানোর চেষ্টা করেন রেলকর্মীরা। যুবকের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
ঘটনার ভয়াবহতায় শিউরে উঠেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এক জনের কথায়, “ছেলেটাকে এক মুহূর্ত আগে দেখেই কিচ্ছু বোঝার উপায় ছিল না। মোবাইল ঘাটছিল। ট্রেন আসছিল কিনা, উঁকি দিয়ে দেখছিল… আচমকাই কী একটা করে ফেলল।”
আরও পড়ুন: ‘ওঁ তো বাঘিনী!’ রাতারাতি মমতা প্রসঙ্গে হঠাৎ কী ‘স্তুতি’ দিলীপের মুখে?