Asansol Crime: হেলমেটটা পরাই ছিল, সেটা খুলতেই বেরিয়ে আসে খোবলানো মুখের বিভৎসতা! যুবককে দেখে হিমস্রোত বইল শরীরে

Asansol Crime News: ঘটনার বিভৎসতায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

Asansol Crime: হেলমেটটা পরাই ছিল, সেটা খুলতেই বেরিয়ে আসে খোবলানো মুখের বিভৎসতা! যুবককে দেখে হিমস্রোত বইল শরীরে
আসানসোলে ফিজিওথেরাপিস্টের দেহ উদ্ধার (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 03, 2022 | 11:15 AM

আসানসোল: স্ত্রীকে ফোনে জানিয়েছিলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি ফিরবেন তিনি। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ফেরেননি তিনি। এরই মধ্যে স্থানীয় থানায় যায় একটি খবর। রাস্তার ধার থেকে পড়ে রয়েছে একটি বাইক। আর তার পিছনেই ঝোপের মধ্যে পড়ে রয়েছে একটা দেহ। দৃশ্যত দুর্ঘটনার কোনও লক্ষ্মণ নেই। কারণ বাইকে কোনও দুর্ঘটনার ছাপ নেই। বাইক পড়ে থাকতে দেখে ঝোপের মধ্যেই অত্যুৎসাহী পথ চলতি কিছু সাধারণ মানুষ উঁকি দেন। দেখেই শিউরে ওঠেন তাঁরা। তখনও ওই ব্যক্তির মাথায় পরা ছিল হেলমেট। কিন্তু মুখটা থ্যাতলানো, খোবলানো। দেখে মনে হচ্ছিল চামড়া পুড়ে গিয়েছে কিছু একটাতে। জঙ্গলের ভিতর থেকে ফিজিওথেরাপিস্টকে যে অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় সালানপুরে রূপনারায়ণপুরের আমডাঙা এলাকায়। নিহতের নাম সৌমেন পাল (৪৮)। সৌমেন সালানপুর রূপনারায়াণপুরের আমডাঙা অনামিকাপল্লির বাসিন্দা।

জানা গিয়েছে,  সৌমেন পাল আসানসোলের এসবি গরাই রোডের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের ফিজিওথেরাপিস্ট ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে নার্সিংহোমে কাজ করার সময় তিনি স্ত্রী অর্চনা পালের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এরপর নার্সিংহোমের কাজ সেরে তিনি বেরিয়েছিলেন বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে। তারপর থেকে আর কোন খোঁজ মিলছিল না তাঁর। পরিবারের তরফে ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর বাড়ির লোকেরা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। বিষয়টি পুলিশকেও বলা হয়।

বুধবার আসানসোলের ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে এথোড়া মোড় থেকে সামডি যাওয়ার রাস্তায় তাঁর বাইক পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রথমে সেটিকে চিহ্নিত করা যায়নি। পরে রাস্তার ধার থেকেই উদ্ধার হয় ক্ষতবিক্ষত দেহটা। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, সারা শরীরে কোনও আঘাত নেই। তবে মুখের সামনের অংশ থ্যাতলানো, পোড়া। আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, মুখের সামনে ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। তবে তখনও মাথায় রয়েছে হেলমেট। পরিবারের সদস্যরা দেহটি শণাক্ত করেন। কী কারণে এই ঘটনা, কীভাবেই বা ঘটেছে, তা ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, বাইকটা পাওয়া গেলেও সৌমেনের মানিব্যাগের হদিশ মিলছে না।

অন্যদিকে, এই একই রাস্তাতেই মঙ্গলবার রাতে অন্য আরেকটি ঘটনা ঘটে। অমিত দাস নামক যুবক কাজ থেকে বাইকে রূপনারায়াণপুরে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। সেইসময় ওই একই জায়গায় তিনজন দুস্কৃতী মুখে গামছা বেঁধে দাঁ দিয়ে আক্রমণ করতে যায়। কিন্তু তিনি মোটরবাইকের গতি বাড়িয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। বুধবার রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে গিয়ে ঘটনার বিবরণ দিয়ে অভিযোগ জানান। সালানপুর থানার পুলিশ এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে।

এক্ষেত্রে পুলিশকে একটি বিষয় ভাবাচ্ছে, যেখানে অমিতের ওপর হামলা হয়েছিল, ঠিক একই জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে সৌমেনের দেহ। সেক্ষেত্রে এই খুনের পিছনেও লুঠেরাদেরই হাত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘ওঁ তো বাঘিনী!’ রাতারাতি মমতা প্রসঙ্গে হঠাৎ কী ‘স্তুতি’ দিলীপের মুখে?