বসিরহাট: ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অন্যতম লক্ষ্য ছিল মহিলাদের মন জয় করা। গত এক দশকে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ও লক্ষীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক জনমুখী প্রকল্প এনেছে তৃণমূল সরকার। আর সেই সব সামাজিক উন্নয়নকে সামনে রেখেই তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই, পরবর্তী নির্বাচনগুলিতেও দেখা গিয়েছে সামাজিক প্রকল্পগুলিকে হাতিয়ার করে প্রচার সেরছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। বাকি ১০৮ পুরনির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বসিরহাট পৌরসভার প্রাক্তন উপ-পৌরপ্রশাসক তথা বসিরহাট পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অদিতি মিত্রও একই পথে হাঁটলেন।
বুধবার সন্ধ্যায় বসিরহাটের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তপারচরে এক নির্বাচনী জনসভা হয়। এদিনের জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃণমূল প্রার্থী অদিতি মিত্রের হয়ে এদিনের জনসভায় আসেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ মিত্র, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বুরহানুল মোকাদ্দাম লিটন, বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা বাপী বোস-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিনের জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি দেখে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তৃণমূল প্রার্থী অদিতি মিত্র। তাঁর কথায়, “যেভাবে আমাদের তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। তার জন্য আজকে মহিলাদের এত উপস্থিতি বলে তাঁর দাবি। তাঁর মতে, বিশেষকরে লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প মহিলাদের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে। মহিলাদের এই এত উপস্থিতি ভোটে জেতার জন্য আমার মনের জোরকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “মহিলারা যদি আমাকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেন আমি পুনরায় জয়ী হব” এমনটাই দাবি অদিতি মিত্রের।
প্রসঙ্গত, বসিরহাট পৌরসভার এই ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপির হয়ে লড়াই করছেন শান্তা বিশ্বাস ও সিপিএম প্রার্থী করেছে শ্যামলী মুখার্জীকে।
আরও পড়ুন: Child Harmed by Sharp weapon: ‘খবরটা শুনে বাড়িতে এসেই দেখি শুধু রক্ত আর রক্ত, ছেলেটাকে আমার ওরা…’
আরও পড়ুন: Bomb Recover in Birbhum: ফের উদ্ধার ২ ড্রাম তাজা বোমা, ভোটের আগে কী হচ্ছে বীরভূমে?